3 August, 2016
আইনি পরামর্শ
১।প্রশ্নঃআমার স্ত্রী নামে তিন কাঠা জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিই। এরপর আমার সারা জীবনের সঞ্চয় ও চাকরি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন ঋণ ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তার জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য বিনিয়োগ করি। ওই জমিতে পাঁচতলা ভবনের ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ আমার। ১০ বছর ধরে তার সঙ্গে আমার বনিবনা নেই। এর আগে সে আমাকে ওই ভবনের কোনো আয় দিত না। ভবনে থাকতে-খেতে দিত। গত ৫ বছর ধরে আমাকে খাওয়ায় না বা কোনো আয় দেয় না। বর্তমানে আমি খুব আর্থিক কষ্টে আছি। এমতাবস্থায় ওই ভবনের আয়ের আনুপাতিক টাকা আইনগতভাবে দাবি করতে পারি কি না?
উত্তরঃআইনগত কোনো সুযোগ নেই। তবে টাকা বিনিয়োগ করেছেন এটা প্রমাণ করতে পারলে টাকা আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে পারেন।
২।প্রশ্নঃনামজারী” কাকে বলে?
উত্তরঃক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।
৩।প্রশ্নঃ বাবা মা মারা যাবার পর তাদের রেখে যাওয়া সম্পতি যদি সব ভাই বোনের মধ্যে বন্টন করতে বন্টননাম ২ জন চান আর ২ জন চান না। তাহলে আইনী ভাবে কি করা যায় ?
উত্তরঃএকজন সহ-মালিক তাদের যৌথ সম্পত্তির অন্যান্য সহ-মালিকদের নিকট সম্পত্তির সৌহারর্দপূর্ণ বন্টন দাবী করে এবং যদি কোন সহ- মালিক তা অস্বীকার করে বন্টন দাবীকারী সহ=মালিক তখন আদালতে বাটোয়অরা মোকদ্দমা রুজু করতে পারে। কেননা এটি তার অধিকার।
৪।প্রশ্নঃজমা খারিজ”কাকে বলে?
উত্তরঃ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে
৫।প্রশ্নঃভায়া দলিল কি ?
উত্তরঃ জমি সংক্রান্ত বিষয়াদির সাথে আমরা প্রায়শ “ভায়া দলিল” এর কথা শুনে থাকি। কিন্ত অনেকই জানিনা “ভায়া দলিল” কি জমির মূল বা আদি দলিলকে ভায়া দলিল বলে। আর জমির মালিকানা নিরুপনের জন্য ভায়া দলিল দরকার।