জাল দলিল বাতিলের মামলা করার বিধান
(১) জাল দলিল রেহিস্ট্রি হয়ে থাকলে তা বাতিলের মামলা করা যাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারা অনুসারে দেওয়ানি আদালতে।
(২) আদালত বিচার শেষে যো ডিক্রি প্রদান করবেন তার একটি নকল সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ করতে হবে। উক্ত নকলের কপি পেয়ে রজিস্ট্রারিং অফিসার সংশ্লিষ্ট বালাম বহিতে দলিল বাতিলের বিষয়টি লিটিবদ্ধ করে রাখবেন।
(৩) জাল দলিল বাতিল না হলে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি এ মামলা করেত পারেন। অর্থাত সম্পত্তিতে যার স্বার্থ আছে তিনিই কেবল এ মামলা করতে পারবেন।
(৪) একাধিক ব্যক্তি পক্ষ হলে তাদের সবাই বা যে কোন জন মামলা করতে পারবেন।
(৫) সম্পত্তির মালিক বেঁচে থকলে ভবিষ্যত উত্তরাধিকারী মামলা করতে পারবেন।
(৬)নাবলকের সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিলে ঐ নাবালকের অভিবাবক বা ঐ নাবালক সাবালকত্ব অর্জনের পর সে নিজে মামলা করতে পারবেন।
(৭) যিনি কোন দলিলকে জাল বা জোর পূর্বক সম্পাদিত বলে দবি করবেন তাকে তার দবির সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। (সাক্ষ্য আইন ১০১ ধারা, ২৬ ডিএলআর ৩৯২)
(৮)দলিল বাতিলের মামলা করার জন্য কোর্ট ফি আইনের দ্বিতীয় তফসিলে ১৭(৩) অনুচ্ছেদ উল্লিখিত হারে কোর্ট ফি প্রদান করতে হবে।
(৯) জাল দলিল সম্পর্কে জানার ৩ বছরের মধ্যে ঐ দলিল বাতিলের মামলা করতে হাবে। নচেত তা তামাদি দোষে বাতিল হবে (তামদি আইন ১ম তফসিলের ৯৩ অনু:)
(১০) দলিল আংশিক বাতিলের মামলা করা যাবে (সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ৪০ ধারা)।
(১১) দলিল বাতিলের মামলার সাথে অন্য প্রতিকার যেমন-দখল পাবার প্রার্থনাও কারা যাবে তবে এর জন্য অতিরিক্ত কোর্ট ফি দিতে হবে। (কোর্ট ফি আইন ৭(৪)(গ) ধারা)।
(১২) জাল দলিল বাতিলের মামলা ছাড়াও দলিল জারকারীর শান্তি দাবি করে ফৌজদারি আদালতে দন্ড বিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৮৭৩ ধারায় মামলা করা যাবে।