M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮

18 September, 2015

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮

আমরা সকলেই জানি ভবন নির্মাণের জন্য, ভবনের ডিজাইন এবং নকশা অনুমোদনের ক্ষেএে সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করতে হয় । যেটি ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ নামে পরিচিত । নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ আইনটি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে ।

প্রথম অধ্যায় : প্রারম্ভিক


(১) সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন

১) এই বিধিমালা ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ নামে অভিহিত হইবে ।
২) ইহা Town Improvement Act-1953 ( Act No. XIII of 1953) এর অধীন প্রণীত ঢাকা মহানগর পরিকল্পনাভুক্ত এলাকার জন্য প্রযোজ্য হইবে ।
৩) ইহা অবিলম্ভে কার্যকর হইবে ।

(২) সংজ্ঞা : বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্হী কোন কিছু না থাকলে এই বিধিমালায়-

১) “অনুমোদিত নকশা” অর্থ আইনের বিধানানুযায়ী অনুমোদিত ভবন বা কাঠামোর নকশা
২) “অথরাইজড্ অফিসার” অর্থ আইনের অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত Authorized Officer
৩) “অঙ্গন বা আঙিনা বা উঠান” অর্থ ভূমি বা অন্য যে কোন তলে অবস্থিত, সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ভবনদ্বারা বেস্টিত পরিসর, যাহা স্থায়ীভাবে উন্মুক্ত
৪) “অগ্নি-প্রতিরোধক দরজা” অর্থ বিশেষভাবে তৈরি দরজা যাহা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাপ ও আগুন সঞ্চালন এর প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে;
৫) “অগ্নি-প্রতিরোধক উপকরণ” অর্থ অগ্নি-প্রতিরোধক ক্ষমতাসম্পূর্ণ নির্মাণ উপকরণ
৬) “অগ্নি-নিরাপদ সিঁড়ি” অর্থ বিভিন্ন তলা হইতে ল্যান্ডিং বা লবি দ্বারা সংযোজিত সিঁড়ি যাহা অগ্নি-প্রতিরোধক দরজা দ্বারা মূল বিল্ডিং হইতে আলাদা হইবে এবং ইমারতের বহিঃর্ভাগে খোলা স্থানের সহিত উন্মুক্ত থাকিবে;
৭) “অকুপেন্সী টাইপ” অর্থ বিধিমালার পরিশিষ্ট-৩ এ ইমারতের ব্যবহার ভিওিক শ্রেনীবিন্যাস যেইভাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে ইহা এবং উক্ত নির্ধারিত ধরণের ব্যবহারের সহিত আনুষাঙ্গিক ব্যবহারের সংশ্লিষ্টতাও ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে
৮) “অস্থায়ী ইমারত” অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কতৃপক্ষ কতৃক অনুমোদিত ইমারত যাহা ঐ নির্দিষ্ট সময়ের শেষে অপসারিত হইবে
৯) “আইন” অর্থ Building Construction Act-1952 (Act No. II of 1953)
১০) “আবেদনকারী” অর্থ সংশ্লিষ্ট ভূমির বৈধ মালিক এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যিনি উক্ত ভূমিতে ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন অনুমতি প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন এবং বৈধ মালিকের পরে আবেদনকারী হিসেবে আম-মোক্তারনামা বলে নিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে
১১) “আবেদন” অর্থ ভূমি ব্যবহার ছাড়পএ, বিশেষ প্রকল্প ছাড়পএ, ইমারত নির্মাণ, পাহাড় কর্তন ও পুকুর খননের জন্য অনুমোদন, বসবাস সনদ এবং সংশোধন, পরিবর্ধন এবং নবায়নের জন্য আবেদন
১২) “আধা-বিচ্ছিন্ন ভবন” অর্থ এমন ভবন যাহার তিনপার্শ্ব বহিঃরাঙ্গনের দিকে উন্মুক্ত এবং এক পার্শ্ব অন্য ভবনের সহিত সংযুক্ত

১৩) “আচ্ছাদিত স্থান” অর্থ ইমারত দ্বারা ভূমিতলসহ আচ্ছাদিত ক্ষেএ, যাহা প্লিন্থস্তরের ঠিক পরবর্তী স্তর বা তলা, তবে নিন্মলিখিত স্থানসমূহ ইহার অন্তর্ভূক্ত নয়
(ক) বাগান, পারগোলা, তরশালা, জলাশয়, সুইমিংপুল(অনাচ্ছাদিত), গাছের নীচের বেদী, জলাধার, ফোয়ারা এবং আসন;
(খ) জলনির্গমন ব্যবস্থা, কালভাট, সেপটিক ট্যাংক, সোকপিট
(গ) সীমানা প্রাচীর ও ফটক, কার্নিশ এবং সানসেড কতৃক আচ্ছাদিত স্থান

চলবে———–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *