চুক্তি সম্পাদন/চুক্তি আইন/চুক্তি আইন ১৮৭২
29 October, 2015
চুক্তি সম্পাদন
চুক্তি কি
১৮৭২ সালের চুক্তি আইন অনুযায়ী চুক্তি বলতে একজন সুস্থ মস্তিস্ক প্রাপ্ত বয়স্ক আইনের দৃষ্টিতে সাবালক ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন বস্তু অর্থের বিনিময়ে অথবা বস্তুর বিনিময়ে আদান প্রদান করার জন্য লিখিত ভাবে অংগীকারাবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াকে চুক্তি বলে । তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রযোজ্য হবে শর্তগুলি নিম্নে দেওয়া হলো।
চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক, সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
অপর ব্যক্তি উক্ত প্রস্তাব গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করে কোন কিছু প্রতিদান করতে হবে।
প্রতিদান ব্যতিত কোনো চুক্তিই কার্যকর হবে না
বায়না চুক্তি
জমি ক্রয়-বিক্রয়ের বায়না দলিলসহ যে কোন উদ্দেশ্যে কোনো চুক্তি সম্পদিত হলে তার আইনগত মূল্য অনেক ৷ চুক্তি লিখিত হোক আর অলিখিতই হোক ৷ তবে চুক্তি লিখিত হওয়াই উত্তম ৷ চুক্তি পত্রে উল্লেখিত চুক্তির শর্তসমূহ চুক্তি সম্পাদনকারী সকল পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক৷ চুক্তিপত্রে চুক্তির শর্ত সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে ৷ যেমন বায়না চুক্তির ক্ষেত্রে বায়নায় প্রদত্ত টাকার পরিমাণ, জমির পরিমাণ, চুক্তিতে সাব্যস্ত মোট মূল্য, চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সীমা, ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে ৷
চুক্তি প্রবলের মামলা
চুক্তি সম্পাদনের পর কোনো পক্ষ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলে বা চুক্তি অস্বীকার করলে অপর পক্ষ ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এর ১২ ধারা মতে আদালতে চুক্তি প্রবলের মামলা করতে পারবেন ৷ এরূপ মামলা চুক্তি সম্পাদনের তারিখ হতে বা চুক্তি অস্বীকারের তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে করা যায় (১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ৯১ অনুচেছদ)।
আদালতের মাধ্যমে দলিল রেজিষ্ট্রি
কেউ জমি বিক্রয়ের বায়না চুক্তি করে পরবর্তীতে কাওলা/কবলা দলিল সম্পাদন করতে গড়িমসি করলে এবং ক্রেতা চুক্তি প্রবলের মামলা করলে আদালত বিক্রেতাকে দলিল সম্পাদনের জন্য নির্দেশ এমনকি আদালত স্বয়ং বা প্রতিনিধির মাধ্যমে কাওলা/কবলা দলিল সম্পাদন করে তা রেজিষ্ট্রির জন্য সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রেরণ করতে পারেন ৷ এরূপ দলিলই হলো আদালতের দলিল ৷