M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ পর্ব বার

আমরা সকলেই জানি ভবন নির্মাণের জন্য, ভবনের ডিজাইন এবং নকশা অনুমোদনের ক্ষেএে সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করতে হয় । যেটি ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ,উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ নামে পরিচিত । নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ আইনটি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে ।


পর্ব বার
(২৬) অনুমোদিত নকশা সংশোধন
১) অনুমোদিত নকশা সংশোধনের ক্ষেএে নিন্মলিখিত শর্ত পূরণ করিতে হইবে, যথা
(ক) কোন ইমারতের অনুমোদন হইয়া যাওয়ার পর নির্মাণ অনুমোদনপএের মেয়াদকালের মধ্যে যদি কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে ৮ (আট) কপি সংশোধিত নকশাসহ আবেদন করিতে হইবে;
(খ) শুধুমাএ আভ্যন্তরীণ পুনর্বিন্যাসের বেলায় সর্বমোট মেঝের আয়তন, FAR, জমি আচ্ছাদনের পরিমাণ, বাইরের পরিসীমা এবং ভার্টিক্যাল সার্কুলেশন পদ্ধতি বা পথের অবস্থানগত পরিবর্তন না হইলে নতুন করিয়া অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না
(গ) কক্ষের উচ্চতায় পরিবর্তন ২০ সে.মি. এর মধ্যে হইলে কোন নতুন অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না যদি উচ্চতার সহিত জড়িত অন্যান্য বাধ্যবাধকতা যথাযথ থাকে
(ঘ) যদি অনুমোদনযোগ্য FAR, সেটব্যাক ও ভূমি আচ্ছাদনের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া নির্মাণকালীন সময়ে ইমারতের মেঝের ক্ষেএফল পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে বিধি ২৭ অনুযায়ী ফি নির্ধারণ হইবে
(ঙ) যদি সংশোধিত নকশা পুনঃঅনুমোদনের আগেই সংশোধিত অংশ নির্মিত হইয়া থাকে, এবং ঐসব পরিবর্তন যদি বিধিমালায় অনুমোদনযোগ্য হয়, তাহা হইলে মূল ফি এর অতিরিক্ত ১০ (দশ) গুণ ফি এবং আইন অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ কমিটি কতৃক ধার্য্যকৃত জরিমানা প্রদান পূর্বক আবেদন করিয়া পুনরায় নির্মাণ অনুমোদনপএ গ্রহণ করিতে হইবে;
(২) উপ-বিধি (১) এর দফা (ঘ) অনুযায়ী সংশোধন, বসবাস বা ব্যবহার সনদপএ প্রদানের সময় ইমারতের নির্মিত নকশায় অনুমোদন প্রদান করা হইবে ।
(৩) এই বিধিমালা কার্যকর হইবার পূর্বে আইনানুগভাবে অনুমোদিত নকশার বৈধতা বহাল থাকিবে ।
(২৭) ইমারত নির্মাণ, পাহাড় কর্তন, পুকুর খননের জন্য অনুমোদন, সংশোধন ও পরিবর্তন ফি
(১) নতুন ইমারত নির্মাণের ক্ষেএে ফি পরশিষ্ট-৪ অনুযায়ী নির্ধারিত হইবে ।
২) সংশোধন ও পরিবর্তনের ক্ষেএে-
(ক) যদি মেঝের পরিমাণ বৃদ্ধি না পায় সেই ক্ষেএে উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত ফি এর এক-তৃতীয়াংশ; এবং
(খ) যদি মেঝের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সেই ক্ষেএে উপ-বিধি (১) প্রযোজ্য হইবে এবং অবশিষ্টাংশের ক্ষেএে উপ-বিধি ২(ক) প্রযোজ্য হইবে ।
(৩) ইমারত নির্মাণ অনুমতিপএের অতিরিক্ত সত্যায়িত অনুলিপি ও অন্যান্য দলিলের সত্যায়িত অনুলিপির প্রতিটি কপি ৫০০ (পাঁচশত) টাকা বিনিময় হারে সংগ্রহ করা যাইবে ।
(৪) পাহাড় কর্তন ও পুকুর খনন অনুমোদন, সংশোধন ও পরিবর্তন এর জন্য ফি পরিশিষ্ট-৪ অনুযায়ী হইবে ।
(৫) এই বিধিমালার অধীনে প্রদেয় সকল ফি ঢাকা মহানগর এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা হইতে “চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ, ঢাকা” এর অনুকূলে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে প্রদান করিতে হইবে ।
(২৮) কতৃপক্ষের পরিদর্শন, কর্তব্য ও দায়িত্ব
কতৃপক্ষ বা কতৃপক্ষের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা ইমারত বা প্রকল্পের কাজ সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে কোন সময়ে পরিদর্শন এবং অনুমোদিত ডিজাইন, রিপোর্ট ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ চলিতেছে কিনা তাহা পরীক্ষা করিতে পারিবে ।
(২৯) বিজ্ঞপ্তি, স্থগিতকরণ অথবা অননুমোদিত কাঠামো ভিঙ্গিয়া দেওয়া, ইত্যাদি
১) কতৃপক্ষ নির্মাণ কাজ স্থগিত করিতে, সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করিতে অথবা কাঠামো ভাঙ্গিয়া ফেলিতে আদেশ করিতে পারিবে, যদি-
(ক) যে কোন পর্যায়ে অনুমোদিত নকশা বর্হিভূত কাজ ধরা পড়ে
(খ) ইমারত তৈরির অনুমোদন অথবা বিশেষ প্রকল্প ছাড়পএের নিয়ম ও শর্তসমূহ সরাসরি লংঘন করা হয়; এবং
(গ) পাশ্ববর্তী জনগণের জীবন ও ধন-সম্পওির ক্ষতিসহ পরিবেশের জন্য হুমকির সৃষ্টি করে ।
(২) নির্মাণ অনুমতিপএ স্থগিত বা বাতিল করা যাইবে, যদি-
(ক) সংশ্লিষ্ট জমি বা প্লটের বিষয়ে কোন আইনগত জটিলতা দেখা দেয়
(খ) অনুমোদনের শর্তাবলী ভঙ্গ করা হয়
(গ) আবেদন পএ বা অন্যান্য প্রযোজ্য ফরমসমূহে ভুল অথবা মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়, এবং
(ঘ) ইমারত ব্যবহারে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় এবং অনুমোদিত নকশার বিধি বহিভূত পরিবর্তন করা হয় ।
(৩) কোন ইমারত নির্মাণ কাজ অবৈধ ঘোষণা করা হইলে তাহা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক বা অর্থ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে (প্রযোজ্য ক্ষেএে) কতৃপক্ষ স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নোটিশ দিয়া অবহিত করিবে ।
(৪) যে সকল ইমারতকে অবৈধ ঘোষণা করা হইবে সেই সকল ইমারতের কোনরূপ সেবা প্রদান (Utility Services) না করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহিত করা হইবে ।
তৃতীয় অধ্যায় : কমিটি
(৩০) কমিটি গঠন:
সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই বিধিমালার বিধানসমূহ প্রয়োগের উদ্দেশ্যে নিন্মরূপ এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে, যথা :
(ক) ইমারত নির্মাণ কমিটি
(খ) বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটি;
(গ) নগর উন্নয়ন কমিটি; এবং
(ঘ) প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন কমিটি ।
(৩১)ইমারত নির্মাণ কমিটি
আইনের Section 3 এর Sub-section (2) এর বিধান অনুযায়ী অথরাইজড্ অফিসারের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য এক বা একাধিক ইমারত নির্মাণ কমিটি গঠিত হইবে এবং কমিটির কার্য্যপরিধি উক্ত আইনের আওতায় নিয়ন্ত্রিত হইবে ।
(৩২) বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটি
(১) এই বিধিমালার আওতায় বৃহদায়তন বা বিশেষ ধরনের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য কতৃপক্ষ একটি বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটি গঠন করিবে ।
(২) বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটি গঠন হইবে নিন্মরূপ, যথা
(ক) সদস্য পরিকল্পনা, রাজউক – সভাপতি
(খ) নগর পরিকল্পনাবিদ (পরিচালক), রাজউক – সদস্য
(গ) প্রধান প্রকৌশলী, রাজউক – সদস্য
(ঘ) স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি (উপ-প্রধান স্থপতি পদমর্যাদার) – সদস্য
(ঙ) ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি – সদস্য
(চ) ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি – সদস্য
(ছ) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর প্রতিনিধি – সদস্য
(জ) পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ), রাজউক – সদস্য-সচিব
৩) প্রতিমাসে রাজউক ভবনে বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটির কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে ।
৪) সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ১০ (দশ) দিন পূর্বে সদস্য সচিব জমির মালিকানা দলিল ব্যতীত অন্যান্য তথ্যাদি সহ ১ (এক) সেট করিয়া নকশা কমিটির প্রত্যেক সদস্যের নিকট প্রেরণ করিবে ।
৫) কমিটির সভার জন্য কোরামের সদস্য সংখ্যা হইবে ৫ (পাঁচ) জন, কমিটির সকল সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হইতে হইবে ।
৬) যথাযথভাবে আবেদনপএ দাখিলের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পওি করিতে হইবে ।
৭) বৃহদায়তন বা বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন কমিটি প্রয়োজনে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করিতে পারিবে ।
চলিবে……………………….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *