M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

বিবাহ’ একটি দেওয়ানী চুক্তি

‘বিবাহ’ একটি দেওয়ানী চুক্তি

নিবিচার যৌনাচার থেকে সমাজকে রক্ষাকল্পে এই ‘বিবাহ’ বিবাহ হচ্ছে সম্ভোগের শৈল্পিক রূপ ।সমাজকে সুশৃঃখল রাখার জন্য মহান আল্লাহতায়লা এই পারিবারিক বন্ধনকে বিবাহের একটা সুন্দর রূপ দিয়েছেন বিবাহ একটা প্রথা না থাকলে সমাজে কত অনাচার –অবিচার হতো তা বলার অপেক্ষা রাখেনা ।সম্ভোগ ও সন্তান সমূহবৈধ করনাথে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়,মুসলিম আইনে তাকে বিবাহ বলা হয় ।এটি একটি দেওয়ানী চুক্তি মাত্র ।স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন যাপন এবং সন্তান জন্মদান করাই বিবাহের উদ্দেশ্য ।
বিবাহ তিন প্রকার :
(ক ) বৈধ বিবাহ;
(খ ) অনিয়মিত বিবাহ ;
(গ ) বাতিল বিবাহ  ;
(ক ) বৈধ বিবাহ—মুসলিম আইনের বিধান মতে একটি বৈধ বিবাহের উপাদান হচ্ছেঃ—
১ । বৈধ বিবাহের প্রধান উপাদান বা শত হলো বর ও কন্যার বিবাহ চুক্তিতে আবদ্ধ হবার যোগ্যতা ।বর ও কন্যাকে অবশ্যই সুস্হ্য মস্তিষ্ক ও সাবালক হতে হবে ।
২ । বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে বিবাহ ইচ্ছুক পক্ষগনের কোনো এক পক্ষের নিকট হতে বিবাহের প্রস্তাব আসতে হবে ।মুসলিম আইনে একে ‘ইজাব’ বলা হয় ।
৩ । ‍এক পক্ষ কতৃক ঐ প্রস্তাব গৃহিত হতে হবে ।মুসলিম আইনে একে কবুল ‘ বলা হয় ।বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে এটা আবশ্যিক ।প্রস্তাব গৃহিত না হলে বিবআহ বৈধ হবে না ।
৪ । বিবাহের ‘প্রস্তাব ‘ ও সমথন ‘অথ্যাৎ ‘ইজাব’ ও কবুল ‘ একই বৈঠকে সম্পন্ন হতে হবে ।এক বৈঠকে ‘প্রস্তাব’ এবং অপর বৈঠকে সমথন’ দ্বারা বিবাহ আইনসিদ্ধ হবেনা ।


৫ । বিবাহের ‘প্রস্তাব’ ও সমথন’ দুজন প্রাপ্ত বয়সমক ও সুস্হ্যমনা পুরুষ  অথবা একজন পুরুষ বা দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকা প্রয়োজন ।
৬ । বৈধ বিবাহের অন্যতম উপাদান হলো ‘ দেনমোহর ‘।দেনমোহর হলো স্ত্রীর উপর সম্মান প্রদশন হিসাবে  স্বামীর উপর আরোপিত দায়িত্ব ।অবশ্য দেনমোহর ধায্য না করে বিবাহ অনুষ্ঠিত হলে ঐ বিবাহ বৈধ বলে স্বীকৃত হবে ,এবং  সেক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর নিকট হতে  যথাযথ ও ন্যায় সংগত দেনমোহর পাবার দাবীদার হবে ।
৭ । বিবাহের পক্ষবৃন্দ অবশ্যই নিষিদ্ধ সম্পকের মধ্যে হবে না । নিষিদ্ধ সম্পক বলতে মাতা,কন্যা,ফুফু,বোন ত্যাদী আত্মীয়ের সাথে সম্পককে বুঝায় ।
৮ । কোনো নআবালক-নাবালিকা বিবাহ চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে না ।এরূপ বিবাহ যদি তাদের অভিবাবক কতৃক সম্পন্ন হয় তবে ঐ বিবাহ বৈধ বলে গন্য হবে ।পিতা,দাদা ও সহোদর ভাইকে অভিবাবক হিসেবে গন্য করা হয় ।কাজেই উপোরোক্ত শতগুলো প্রতিপালিত হলেই বিবাহ বৈধ বলে গন্য হবে ।
(ক) এখানে উল্লেখ যোগ্য যে ,নারীদের নিরাপত্তার জন্য ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইনের ৮ ধারানুসারে প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন বা রেজিষ্ট্রি করতে হবে ।এই নিয়ম সংঘিত হলে শাস্তি ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ।কিন্তু বিবাহ অবৈধ হবে না ।
বৈধ বিবাহের স্ত্রীর দেনমোহর ,খোরপোষ ও স্বামীর ঘরে তার সাথে বসবাসের অধিকার জন্মায় এবং স্ত্রীর উপর স্বামীর প্রতি বিশ্বস্হ ও অনুগত থাকার ,স্বামীকে তার সাথে যৌনমিলনের অধিকার ও পাস্পরিক  ওয়ারিশত্ব সৃষ্টি করে ।
(খ ) অনিয়মিত বিবাহ —অনিয়মিত বা ফাসিদ ‘বিবাহ অস্তায়ী বা অবৈধ ।কোনো বিশেষ কারনে সাময়িক ভাবে বাতিল গন্য হয় বিধায় উক্ত বিশেষ কারনটি দূরীভূত হলেই বৈধ বিবাহ বলে গন্য হয় ।যে সব কারনে একটি বিবাহ অবৈধ বলে গন্য ,সেগুলো হচ্ছে ঃ—
১ । সাক্ষী ছাড়া বিবাহ হলে ।কারন,এটি একটি দূঘটনা প্রসূত অনিয়ম মাত্র ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *