সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় অনুমতি বিবেচনা
সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় অনুমতি বিবেচনা
সরকারের সম্পত্তি কিংবা সরকারি কোন সংস্হার সম্পত্তি কিংবা কোন করপোরেশন (স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান) এর সম্পত্তি লিজ দলিল বরাদ্দপত্র (এলটম্যান্ট) দলিলমূলে মালিক ও স্বত্ববান হওয়া যায়। এরুপ ক্ষেত্রে এমন কিছু সম্পত্তি লিজ বা বরাদ্দ দেয়া হয় যা লিজ প্রাপক পরবর্তীতে বিক্রয় করতে গেলে সংশ্লিষ্ট লিজ বা বরাদ্দ দাতার নিকট থেকে অনুমতি নেবার বিধান থাকে। এক্ষেত্রে বিক্রয় অনুমতি গ্রহন করা ছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না। তাই এরুপ সম্পত্তি ক্রয় করার পূর্বে বিক্রেতা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিক্রয় অনুমতি গ্রহন করেছেন কিনা জেনে নিতে হবে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ঢাকা শহরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ “জাগৃক” অথবা পূর্ত মন্রণালয় থেকে বিভিন্ন আবাশিক বা বাণিজ্যিক প্লট লিজ বা বরাদ্দ নিয়ে অনেকে তাতে বাড়িঘর, বহুতল ভবন নির্মান করে ভোগ ব্যবহার করছেন এবং এরুপ সম্পত্তি পরবর্তী হস্তান্তরযোগ্য অর্খাৎ লিজ গ্রহীতা তার প্রয়োজনে এরুপ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে যথাযথ ফি প্রদান পূর্বক বিক্রয় অনুমতি গ্রহণকরতে হবে।নছেৎ বিকয় করতে পারবেন না। আবার সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে যে সমস্ত প্রজেক্টের প্লট গ্যাজেট প্রকাশের মাধ্যমে পূর্ণ মালিকানা প্রদান করা হয়েছে সে সমস্ত পলটের বিক্রয় অনুমতি নেবার প্রয়োজন নাই, যেমন বর্তমানে (2006 সালে) পূর্ত মন্রণালয় খিলগাঁও পূর্নবাসন এলাকার প্লটের অবমুক্তি দিয়াছেন। যার ফলে উক্ত এলাকায় এখন আর বিক্রয় অনুমতি নেবার প্রয়োজন নাই।
তাই এরুপ সম্পত্তি ক্রয়ের পূর্বে তা বিবেচনায় আনতে হবে।