28 April, 2016
ধারা-৪৭ (রেজিস্ট্রিকৃত দলিল কার্যকরী হওয়ার সময়)
রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রাদি সেই সময় হইতে কার্যকরী হইবে, উহা রেজিস্ট্রি করার প্রয়োজন না হইলে বা রেজিস্ট্রি করা না হইলে যেই সময় হইতে ইহা কার্যকরী হইত, রেজিস্ট্রিকরণের সময় হইতে নহে ।
ধারা-৪৮ (সম্পত্তির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যখন মৌখিক চুক্তির প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে)
উইল ছাড়া স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রাদি ঐ সম্পত্তি-সম্পর্কিত যে, কোনো মৌখিক চুক্তি বা ঘোঘণার প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে, যদি চুক্তি বা বক্তব্যের ঘোষণার সংগে বা উহার পরে দখল প্রদান না করা হইয়া থাকে এবং সংশ্লিষ্ট সময় প্রচলিত কোন আইনের বলে উক্ত সম্পত্তির ন্যায্য হস্তান্তর না হইয়া থাকে ।
তবে ১৮৮২ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ধারায় বর্ণিত দলিল গচ্ছিত রাখিয়া যেই বন্ধক, তাহা পরে সম্পাদিত এবং রেজিস্ট্রিকৃত উক্ত সম্পত্তির কোনো বন্ধকী দলিলের প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে ।
ধারা-৪৯ (রেজিস্ট্রিকরণীয় দলিল রেজিস্ট্রি না হওয়ার ফলাফল)
অত্র আইনের বা পূর্ববর্তী কোনো আইনের কোনো বিধান মোতাবেক কোনো দলিলের রেজিস্ট্রিকরণ প্রয়োজনীয় হইলে যদি উহা রেজিস্ট্রিকৃত না হয় তবে-
১। ঐ দলিল কোনো স্থাবর সম্পত্তির উপর বর্তমান বা ভবিষ্যত্, কায়েমী বা শর্ত যুক্ত কোনো অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ, সৃষ্টি ঘোষণা, হস্তান্তর খর্ব বা বিলোপকল্পে কার্যকরী হইবে না; অথবা
২।দত্তক গ্রহণের ক্ষমতা দিবে ন ।
ধারা-৫০ (ভূমি-সংক্রান্ত কতিপয় রেজিস্ট্রিকৃত দলিল অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে)
উপধারা-(১) ১৭ ধারার (১) উপধারার (ক), (খ), (গ) এবং (ঘ) দফায় এবং ১৮ ধারায় বর্ণিত এবং যথাযথরূপে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্র উল্লিখিত সম্পত্তি সম্পর্কে ঐ সম্পত্তি-সংক্রান্ত অন্যান্য অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রের প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে, উক্ত রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্র এবং অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্র একই ধরণের হউক বা না হউক, তবে কোর্টের কোনো ডিক্রি বা হুকুমনামার ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে না ।
তবে শর্ত থাকে যে, পূর্বের তারিখে অরেজিস্ট্রিকৃত দলিলের বলে সম্পত্তির দখলকার ব্যক্তি সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের (১৮৮২ সালের ৪নং আইন) ৫৩-ক ধারায় প্রদত্ত অধিকার লাভ করিবে, যদি ঐ ধারার সকল শর্ত প্রতিপালিত হয় ।
আর ও শর্ত থাকে যে, পূর্বের তারিখের অরেজিস্ট্রিকৃত দলিলের বলে যাহার বরাবরে দলিল সম্পাদন করা হইয়াছে তিনি, পরবর্তী তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যাহার বরাবরে সম্পাদিত হইয়াছে তাহার বিরুদ্ধে, চুক্তিপত্র বলে মামলা করিয়া চুক্তি কায॔করী করিতে পারিবেন, তবে এই অধিকার ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ২৭ ধারার (খ) অনুচ্ছেদের অধীন হইবে ।
উপধারা-(২) ১৭ ধারার (১) উপধারার শর্ত অনুসারে রেহাইপ্রাপ্ত ইজারাসমূহ বা উক্ত ধারার (২) উপধারায় বর্ণিত কোনো দলিল পত্র অথবা এই আইন কার্যকরী হওয়ার সময় রেজিস্ট্রিকৃত কোনো দলিল যাহাতে তত্কালীন আইনে কোনো প্রকার অগ্রগণ্যতা ছিল না সেইসব ক্ষেত্রে (১) উপধারার কোনো বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।
ব্যাখ্যা : ১৮৬৩ সালের ১৬ নং আইন অথবা ১৮৬৬ সালের রেজিস্ট্রিকরণ আইন যেই স্থানে এবং এই সময়ে বলবত্ ছিল সেই স্থানে এবং সেই সময়ে সম্পাদিত অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রাদির ক্ষেত্রে অ-রেজিস্ট্রিকৃত অর্থে উক্ত আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি হয় নাই, এমন এবং ১৮৭১ সালের ১লা জুলাই-এর পরে সম্পাদিত দলিলপত্রের ক্ষেত্রে অ-রেজিস্ট্রিকৃত অর্থে ১৮৭১ সালের বা ১৮৭৭ সালের রেজিস্ট্রিকরণ আইন অথবা এই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি হয় নাই, এমন বুঝাইবে ।
তথ্যসুত্র : রেজিস্ট্রেশন অাইনের ভাষ্য , লেখক- গাজী শামসুর রহমান।