সিকস্তি কি?
সিকস্তি বলতে প্লাবন বা জলমগ্নতার দ্বারা ভূমি ক্ষয়কে বুঝায়।অর্থাৎ,নদী কিংবা সমুদ্র-স্রোতে যদি কোন ভূমির উপরিভাগ ক্ষয় হইয়া নদী গর্ভে বিলীন হইয়া যায়,তবেই সেই ভূমিকে বলা হইবে সিকস্তি। এইভাবে,“সিকস্তি” বলিতে পলি বা মৃওিকা সধ্ঞয়ে ভূমি গঠন বা সংযোজন এবং নদী বা সমুদ্র-স্রোত বা প্লাবনে ভূমি বিধৌতকরন অথবা উহার বিলোপ সমাধান করাকে বুঝায়।
৮৬(১)ধারা অনুসারে কারো জমি সিকস্তি হওয়ার সাথে সাথে জমির মালিককে ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের জন্য নির্ধারিত ফরমে সহকারী কমিশনার (ভূমি)”র নিকট আবেদন করতে হবে।
আবেদন প্রেক্ষিতে প্রয়জনীয় তদন্ত শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমির ভূমি উন্নয়ন কর মুওকুফের আদেশ দিবেন।এরুপ আদেশই পরবর্তীতে জমির স্বত্বের প্রমান হিসেবে গণ্য হবে।
(২)উক্ত জমির সিকস্তি ৩০ বছরের মধ্যে পয়স্থি হলে তার মালিক বা উওরাধিকারগন দাবী করতে পারবেন।
(৩) কালেক্টরের পক্ষে স্হানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসার পয়স্হি জমি প্রথমে সরকারের দখলে আনবেন।
(৪)জমি দখলে নেয়ার বিষয়টি রাজস্ব অফিসার স্হানীয় সর্বসাধারণকে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করবেন।পরে জরিপের মাধ্যমে ঐ জমির নকশা প্রস্তুত করবেন।
(৫) অতঃপর কালেক্টর ঐ জমির মালিক বা তার উত্তরাধিকারদের বরাদ্দ দিবেন।এক্ষেত্রে ওয়ারিশদের মোট জমি পরিমাণ ৬০বিঘা অতিক্রম করছে কিনা তা বিভেচনায় রাখতে হবে।
(৬) বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য কোন সালামী লাগবে না তবে গ্রহীতাকে কর দিতে হবে।
(৭) সরকার বা সরকারের ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন বাঁধ নির্মাণ বা কার্য়ের ফলে পুনঃগঠিত (পয়স্হি) জমির ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়ম প্রয়োজ্য হবে না। অর্থাৎ সাবেক মালিক জমি ফেরত পাবে না।
(৮)উল্লেখিত বিধানের বিরুদ্ধে কোন আদালতের আশ্রয় গ্রহন করা যাবে না। উল্লেখিত বিধানাবলী কার্যকর করবেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)/ রাজস্ব অফিসার।