22 June, 2016
১। দলিল সংশোধনের মামলার উদ্দেশ্য;
সুনির্দীষ্ট প্রতিকার আইনের ৩১ থেকে ৩৪ ধারায় দলিল সংশোধনের
বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে ।যে ক্ষেত্রে প্রতারনা বা পক্ষগনের
পারস্পরিক ভুলের কারনে কোন লিখিত দলিল প্রকৃত অর্থে পক্ষগনের
কোন উদ্দেশ্য প্রকাশ করেনা সে ক্ষেত্রে দলিলের যেকোনো পক্ষ বা
তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দলিলটি সংশোধনের জন্য মামলা করতে
পারেন ।
২। আদালতে কি প্রমান করতে হবে
মালায় সাক্ষ্য প্রমানে আদালতের নিকট যদি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান
হয় যে দলিলটি প্রনয়নের সময় প্রতারনা বা ভুল হয়েছে এবং দলিলটি কার্যকর করার জন্য পক্ষগণের প্রকৃত উদ্দেশ্য নির্ণয় করা প্রয়োজন
তাহলে আদালত তার ইচ্ছাধীন ক্ষমতা বলে দলিলটি সংশোধনের আদেশ দিতে
পারেন ।
৩। তৃতীয় পক্ষের ক্ষতি করা যাবেনা
তবে এইরূপ দলিল সংশোধনের আদেশ দ্বারা কোন তৃতীয় পক্ষ কত্রিক
সরল বিশ্বাসে এবং মূল্যের বিনিময় অর্জিত কোন অধিকারের ক্ষতি করা
যাবেনা ।
৪। লিখিত চুক্তির ক্ষেত্রে
লিখিত চুক্তি সংশোধনের জন্য আদালত অবশ্যই সন্তোষটো হবে যে ,
চুক্তির পক্ষগনের উদ্দেশ্য ছিল ন্যায়ভিত্তিক ও সুবিবেচনামূলক ।
৫।বিবেচ্য বিষয়
এ ধরনের মামলায় প্রতারনা বা পারস্পরিক ভুল অবশ্যই থাকতে হবে ,
তা না হলে দলিল সংশোধন হবেনা । প্রতারনা ও পারস্পরিক ভুল আদালতের
নিকট অবশ্যই প্রমানিত হতে হবে ।
৬। কতদিনের মধ্যে মামলা করতে হবে
দলিল সংশোধনের মামলা তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের ১৫ এবং ১৬ নং
অনুচ্ছেদের বিধান মোতাবেক ৩ বছরের মধ্যে দায়ের করতে হবে ।অর্থাৎ
যখন প্রতারনামুলকভাবে বা অন্যভাবে সংঘটিত ভুল জানা যায় সেই সময়
থেকে ৩ বছরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে ।