জমি নিবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪-এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪-এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলো_ ক. লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ছাড়া চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না। খ. বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না।
বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপিত কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করা হয় না যদি দলিলের সঙ্গে কিছু কাগজ সংযুক্ত থাকে। সেগুলো হলো।
১।রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০-এর বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সম্পত্তির সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম যদি তিনি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্যভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন।
২। প্রজাস্বত্ব আইনের বিধান অনুসারে প্রস্তুতকৃত সর্বশেষ খতিয়ান, বিক্রেতার নাম বা বিক্রেতার পূর্বসূরীর নাম যদি তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে ওই সম্পত্তি পেয়ে থাকেন।
৩।সম্পত্তির প্রকৃতি।
৪। সম্পত্তির মূল্য।
৫।চতুর্সীমাসহ সম্পত্তির নকশ|
৬। বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
৭। দাতা কর্তৃক এ মর্মে একটি হলফনামা সম্পাদন করতে হবে যে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইতোপূর্বে কারো কাছে বিক্রি করেননি এবং তিনিই দলিলে উলি্লখিত সম্পত্তির মালিক।