20 September, 2016
সপ্তম অধ্যায় বিবিধ
মানব পাচার প্রতিরোধ তহবিল
৪২। (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ‘‘মানব-পাচার প্রতিরোধ তহবিল’’ নামে একটি তহবিল গঠন করিবে এবং উক্ত তহবিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত ও ব্যবহৃত হইবে।
(২) মানব পাচার প্রতিরোধ তহবিলে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ—
(ক) সরকারের মঞ্জুরী বা অনুদান;
(খ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; বা
(গ) কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; এবং
(ঘ) মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত অন্য যে কোন উৎস হইতে প্রাপ্ত
অর্থ।
জাতীয় মানব পাচার দমন সংস্থা
৪৩। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে জাতীয় মানব পাচার দমন সংস্থা নামে একটি সংস্থা গঠন করিতে পারিবে।
কোম্পানী ফার্ম কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৪৪। এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি কোন কোম্পানী বা ফার্ম হইলে, তাহা বাংলাদেশে নিবন্ধিত (incorporated) হউক বা না হউক, যে সকল ব্যক্তি উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইবার সময় উক্ত কোম্পানী বা ফার্মের মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন তাহারা উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে অপরাধটি তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে এবং তাহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।
সমতার নীতির প্রয়োগ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে বিধান
৪৫। (১) এই আইন অনুসারে কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি, মানব পাচারের শিকার ব্যক্তি বা সাক্ষী লইয়া কাজ করিবার ক্ষেত্রে সমতার নীতি অনুসরণ করিতে হইবে এবং কাহারও সহিত কোন প্রকার বৈষম্য করা যাইবে না।
(২) কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন কোন সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহারের অথবা তাহার আইনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ প্রমাণিত হইলে ট্রাইব্যুনালের সুপারিশক্রমে তাহার নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ তাহার বিরুদ্ধে চাকুরী বিধি অনুসারে শৃঙ্খলাভঙ্গ-জনিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং এই ধরনের কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন শৃঙ্খলাভঙ্গ-জনিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উক্তরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ১ (এক) মাসের মধ্যে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৪৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্ত বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথাঃ—
(১) মানব পাচার তহবিলের উৎস;
(২) তহবিল পরিচালনা;
(৩) তহবিল হইতে অনুদান গ্রহণের পদ্ধতি ও যোগ্যতা (method & criteria) ;
(৪) অনুদানের অর্থের পরিমাণ ও বিভাজন; এবং
(৫) বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন কাজ।
রহিতকরণ হেফাজত
৪৭। (১) Suppression of lmmoral Traffic Act, 1933 (Act No. VI of 1933) এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ৮নং আইন) এর ধারা ৫ ও ৬ এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিতকৃত আইনের অধীন বা আলোকে জারীকৃত আদেশ, প্রদানকৃত নির্দেশনা বা কৃত কোন কাজ কর্ম বা দায়েরকৃত মামলা এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে এই আইনের আওতায় প্রণীত, জারীকৃত, গৃহীত, কৃত বা দায়েরকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং চলমান থাকিবে।
আইনের ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ
৪৮। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্রসম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা পাঠ এবং ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।