১৩ জুলাই ১৯৯৪ সালের পর থেকে ভেঙে যাওয়া বা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া জমি ৩০ বছরের মধ্যে জেগে উঠলে আগের মালিক তথা ভেঙে যাওয়ার আগের মালিক জমি ফেরত পাবেন, তবে যে মালিকদের জমি ৬০ বিঘা বা তার বেশি পরিমাণ জমি আছে তারা ভেঙে যাওয়া জমি ফেরত পাবে না। তবে ৬০ বিঘার কম জমি থাকলে ৬০ বিঘা পূরণ করতে যতটুকু জমির প্রয়োজন ততটুকু জমি ফেরত পাবেন এবং ৬০ বিঘা জমি পূরণ করে যদি কোনো জমি অবশিষ্ট থাকে তাহলে তা ‘খাস জমি’ হিসাবে গণ্য হবে।
কোনো জোতের জমি বা অংশবিশেষ নদীতে ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়া অংশের জন্য মালিককে খাজনা দিতে হবে না। রাজস্ব অফিসার জমি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা সম্পকের্ অবহিত হওয়ার পর মালিককে একটি খাজনার রশিদ প্রদান করবেন।
নিমজ্জিত জমি আবার জেগে উঠলে :
নিমজ্জিত জমি আবার জেগে উঠলে এই রশিদটি পয়োস্তি বা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জমির মালিকানা নিণের্য়র প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। কালেক্টর সবর্প্রথম জেগে ওঠা জমির দখল নিয়ে নেবেন এবং জনগণকে জেগে ওঠা জমির ব্যাপারে জানাবেন এবং নোটিশ প্রদানের মধ্যে নকশা তৈরি করাবেন। ওই জেগে ওঠা জমির নকশা/ ম্যাপ তৈরি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে কালেক্টর মূল মালিক বা তার আইনগত উত্তরাধিকারীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। তবে ওই হস্তান্তর জমির পরিমাণ মালিক প্রতি ৬০ বিঘার বেশি হবে না। এই হস্তান্তরিত জমির জন্য কোনো জমির মালিক বা মালিকের বৈধ উত্তরাধিকারীদের কোনো সেলামি দিতে হয় না তবে গ্রহীতাকে আইনানুযায়ী ধায্য ন্যায্য খাজনা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে। যদি ওই বিলীন হয়ে যাওয়া জমি প্রাকৃতিক উপায়ে জেগে না ওঠে তাহলে জমির মালিক ওই জমির দাবি করতে পারবে না।