M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

ভূমি রেজিষ্ট্রেশন আইন(দশম খণ্ড)

ভূমি রেজিষ্ট্রেশন আইন(দশম খণ্ড)

19 March, 2019

দশম খণ্ড
রেজিস্ট্রি করা ও না করার ফলাফল সম্পর্কে
ধারা-৪৭(রেজিস্ট্রিকৃত দলিল কার্যকরী হওয়ার সময়)
রেজিস্ট্রিকৃতদলিলপত্রাদি সেই সময় হইতে কার্যকরী হইবে, উহা রেজিস্ট্রি করার প্রয়োজন নাহইলে বা রেজিস্ট্রি করা না হইলে যেই সময় হইতে ইহা কার্যকরী হইত, রেজিস্ট্রিকরণের সময় হইতে নহে ।
ধারা-৪৮ (সম্পত্তির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যখন মৌখিক চুক্তির প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে)


উইলছাড়া স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রাদি ঐসম্পত্তি-সম্পর্কিত যে, কোনো মৌখিক চুক্তি বা ঘোঘণার প্রতিকূলে কার্যকরীহইবে, যদি চুক্তি বা বক্তব্যের ঘোষণার সংগে বা উহার পরে দখল প্রদান না করাহইয়া থাকে এবং সংশ্লিষ্ট সময় প্রচলিত কোন আইনের বলে উক্ত সম্পত্তির ন্যায্যহস্তান্তর না হইয়া থাকে ।
তবে১৮৮২ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ধারায় বর্ণিত দলিল গচ্ছিত রাখিয়া যেইবন্ধক, তাহা পরে সম্পাদিত এবং রেজিস্ট্রিকৃত উক্ত সম্পত্তির কোনো বন্ধকীদলিলের প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে ।
ধারা-৪৯(রেজিস্ট্রিকরণীয় দলিল রেজিস্ট্রি না হওয়ার ফলাফল)
অত্রআইনের বা পূর্ববর্তী কোনো আইনের কোনো বিধান মোতাবেক কোনো দলিলেররেজিস্ট্রিকরণ প্রয়োজনীয় হইলে যদি উহা রেজিস্ট্রিকৃত না হয় তবে-
(ক)ঐ দলিল কোনো স্থাবর সম্পত্তির উপর বর্তমান বা ভবিষ্যত্, কায়েমী বা শর্তযুক্ত কোনো অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ, সৃষ্টি ঘোষণা, হস্তান্তর খর্ব বাবিলোপকল্পে কার্যকরী হইবে না; অথবা
(খ)দত্তক গ্রহণের ক্ষমতা দিবে ন ।
ধারা-৫০ (ভূমি-সংক্রান্ত কতিপয় রেজিস্ট্রিকৃত দলিল অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের প্রতিকূলে কার্যকরী হইবে)
উপধারা-(১)১৭ ধারার (১) উপধারার (ক), (খ), (গ) এবং (ঘ) দফায় এবং ১৮ ধারায় বর্ণিত এবংযথাযথরূপে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্র উল্লিখিত সম্পত্তি সম্পর্কে ঐসম্পত্তি-সংক্রান্ত অন্যান্য অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রের প্রতিকূলেকার্যকরী হইবে, উক্ত রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্র এবং অ-রেজিস্ট্রিকৃত দলিলপত্রএকই ধরণের হউক বা না হউক, তবে কোর্টের কোনো ডিক্রি বা হুকুমনামার ক্ষেত্রেইহা প্রযোজ্য হইবে না ।
তবেশর্ত থাকে যে, পূর্বের তারিখে অরেজিস্ট্রিকৃত দলিলের বলে সম্পত্তির দখলকারব্যক্তি সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের (১৮৮২ সালের ৪নং আইন) ৫৩-ক ধারায়প্রদত্ত অধিকার লাভ করিবে, যদি ঐ ধারার সকল শর্ত প্রতিপালিত হয় ।
আরও শর্ত থাকে যে, পূর্বের তারিখের অরেজিস্ট্রিকৃত দলিলের বলে যাহার বরাবরেদলিল সম্পাদন করা হইয়াছে তিনি, পরবর্তী তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যাহারবরাবরে সম্পাদিত হইয়াছে তাহার বিরুদ্ধে, চুক্তিপত্র বলে মামলা করিয়া চুক্তিকায॔করী করিতে পারিবেন, তবে এই অধিকার ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকারআইনের ২৭ ধারার (খ) অনুচ্ছেদের অধীন হইবে ।
উপধারা-(২)১৭ ধারার (১) উপধারার শর্ত অনুসারে রেহাইপ্রাপ্ত ইজারাসমূহ বা উক্ত ধারার(২) উপধারায় বর্ণিত কোনো দলিল পত্র অথবা এই আইন কার্যকরী হওয়ার সময়রেজিস্ট্রিকৃত কোনো দলিল যাহাতে তত্কালীন আইনে কোনো প্রকার অগ্রগণ্যতাছিল না সেইসব ক্ষেত্রে (১) উপধারার কোনো বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।
ব্যাখ্যা :১৮৬৩সালের ১৬ নং আইন অথবা ১৮৬৬ সালের রেজিস্ট্রিকরণ আইন যেই স্থানে এবং এইসময়ে বলবত্ ছিল সেই স্থানে এবং সেই সময়ে সম্পাদিত অ-রেজিস্ট্রিকৃতদলিলপত্রাদির ক্ষেত্রে অ-রেজিস্ট্রিকৃত অর্থে উক্ত আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রিহয় নাই, এমন এবং ১৮৭১ সালের ১লা জুলাই-এর পরে সম্পাদিত দলিলপত্রের ক্ষেত্রেঅ-রেজিস্ট্রিকৃত অর্থে ১৮৭১ সালের বা ১৮৭৭ সালের রেজিস্ট্রিকরণ আইন অথবাএই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি হয় নাই, এমন বুঝাইবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *