M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

ভূমি রেজিষ্ট্রেশন আইন(নবম খণ্ড)

ভূমি রেজিষ্ট্রেশন আইন(নবম খণ্ড)

19 March, 2019


উইল জমা রাখা সম্পর্কে

ধারা৪২(উইল জমা দেওয়া)

উপধারা-()কোনো উইলকারী বা নিজে তাঁহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো এজেন্ট দ্বারাতাঁহার উইল খামে-বন্ধ ও সীল-মোহরযুক্ত করিয়া কোনো রেজিস্ট্রারের নিকট জমারাখিতে পারেন । উক্ত খামের উপর তাঁহার নাম ও তাঁহার এজেন্টদের নাম (যদি কেহথাকে) এবং উহা কি প্রকারের দলিল, উহার উল্লেখ থাকিবে ।


ধারা৪৩ (উইল জমা দেওয়ার পরবর্তী পদ্ধতি)

উপধারা-()উক্ত খাম পাইবার পর রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে, গচ্ছিতকারী ব্যক্তিইউইল সম্পাদনকারী কিংবা তাঁহার এজেন্ট, তাহা হইলে তিনি উপরিউক্ত খামের উপরলিখিত বিষয়বস্তু হুবহু নকল ৫নং রেজিস্ট্রার বহিতে রাখিবেন এবং ঐ বহিতে ওউক্ত খামের উপর দাখিল করা ও জমা লইবার সময়, দিন, মাস ও বছর, যেই ব্যক্তিউইল সম্পাদনকারী বা তাহার এজেন্টকে সনাক্ত করিতেছেন তাহার নাম এবং সীলেরউপর গঠনযোগ্য কিছু লিখিত থাকিলে তাহা লিখিয়া রাখিবেন ।

উপধারা-()অতঃপর রেজিস্ট্রার তাঁহার অগ্নিনিরোধক বাক্সে উক্ত সীলমোহর যুক্ত খাম আবদ্ধ করিয়া রাখিবেন ।

ধারা৪৪ (৪২ ধারা অনুযায়ী জমাকৃত সীলমোহরযুক্ত লেফাফা প্রত্যাহার)

   উইলকারী যদি জমা-রাখার খাম ফিরাইয়া লইতে চান, তবে তিনি নিজে বা তাঁহারক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট জমা গ্রহণকারী রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন করিতে পারেন ।রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারীই উইল সম্পাদনকারী বা তাঁহারএজেন্ট, তাহা হইলে তিনি উক্ত খাম ফিরাইয়া দিবেন ।

ধারা৪৫ (জমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পরবর্তী কার্যক্রম)

উপধারা-()৪২ ধারা মোতাবেক সীলমোহরযুক্ত ‘খাম’ গচ্ছিত রাখিয়াছেন এমন কোনো উইলসম্পাদনকারীর মৃত্যুর পরে উক্ত উইল খুলিবার জন্য যদি জমা গ্রহণকারীরেজিস্ট্রারের নিকট কেহ আবেদন করেন এবং রেজিস্ট্রার যদি উইল সম্পাদনকারীরমৃত্যু সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হন, তবে আবেদনকারীর সম্মুখে উক্ত খাম খুলিবেনএবং আবেদনকারীর খচরে ৩নং বহিতে উক্ত উইলের বিষয়বস্তু নকল করাইবেন এবংগচ্ছিত উইল উইলকারীর মনোনীত ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধির নিকট অর্পণ করিবেন।

উপধারা-()গচ্ছিত উইল বিষয়ে উইলকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক ৪৪ ধারা বা একইধারার (১) উপধারা অনুযায়ী যদি কোনো পদক্ষেপ গৃহিত না হয়, তাহা হইলে ঐ উইলবা গচ্ছিত খাম বিলিবন্দোবস্ত বিষয়ে অতঃপর যে বিধান দেওয়া হইয়াছে, রেজিস্ট্রারে তাহা অনুসরণ করিবেন ।

ধারা৪৬ (কতিপয় আইন এবং আদালতের ক্ষমতা সংরক্ষণ)

উপধারা-()ইতিপূর্বে বর্ণিত অত্র আইনের কোনো বিধান ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকার আইনেরকোনো বিধানকে বা উইল হাজির করিবার আদেশ দিতে কোর্টের ক্ষমতা ক্ষুন্ন করিবেনা ।

উপধারা-()উক্তরূপ কোনো আদেশ হইলে এবং ৪৫ ধারা মোতাবেক উইলের কোনো নকল পূর্বেই করানা হইয়া থাকিলে রেজিস্ট্রার খাম খুলিবেন এবং ৩ নং বহিতে উইলের নকল করাইবেনএবং উক্ত নকলে উপরিউক্ত আদেশ অনুসারে মূল দলিল কোর্টে লওয়া হইয়াছে বলিয়ামন্তব্য রাখিবেন ।

ধারা৪৬(উইলসূহ ধ্বংস করিয়া ফেলা)

 উপধারা-()১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রিকরণ (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স বলবত্‍ হওয়ার সময় যে উইলরেজিস্ট্রারের নিকট জমা ছিল এবং তত্পর যে উইল জমাকৃত হইয়াছে, সেই সকল উইলঅতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে ধ্বংস করিয়া ফেলা হইবে, যদি-না ধ্বংস করিবার পূর্বেউক্ত উইল রেজিস্ট্রিকৃত হয় ।

উপধারা-()১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রিকরণ (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স বলবত্‍ হওয়ার পরবর্তীবছরের পহেলা জুলাই এবং তত্পরবর্তী প্রতিবছর পহেলা জুলাই জমাকারী বা তাঁহারমনোনীত ব্যক্তির নিকট ডাকযোগে নোটিশ প্রেরণ করিয়া জমাকারীর হাল ঠিকানাজানিতে চাহিবেন এবং তদুত্তরে প্রাপ্ত ঠিকানা লেফাফার উপর ও রেজিস্ট্রারবহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

উপধারা-()অনুরূপ নোটিশ প্রদানের ফলে বা অন্য কোনোরূপে রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হনযে উইলকারীর মৃত্যু হইয়াছে তবে রেজিস্ট্রার তাঁহার খাতাপত্রে উইলকারীরমৃত্যুর কথা লিপিবদ্ধ ও যেই তথ্যের ভিত্তিতে উহা করা হইল উহার প্রকৃতিলিপিবদ্ধ করিয়া একজন বিচার বিভাগীয় অফিসারের (মুনসেফ অপেক্ষা নিম্ন পদেরনহে) উপস্থিতিতে লেফাফা খুলিবেন৷ অতঃপর উক্ত উইলের কোনো এ্যাক্সিকিউটরথাকিলে তাঁহার অফিসারদ্বয় উইলের সুবিধাভোগী অপর যেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকেস্থির করিবেন তাহাদের নিকট উইলের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংবাদ দিবেন এবংজানাইবেন যে, ছয় মাসের মধ্যে উইল রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা করা না হইলে উহাধ্বংস করিয়া ফেলা হইবে ।উপধারা-()নোটিশ-প্রদত্ত সময়ের সীমা অতিক্রান্ত হউক বা না হউক, ১৯১৭ সালের নথিধ্বংসকরণ আইন (১৯১৭ সালের ৫নং আইন) অনুসারে উইল যথার্থই ধ্বংস না করাপর্যন্ত অনুরোধ জ্ঞাপনের অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তির অনুরোধক্রমে উপযুক্তখরচাদি গ্রহণে উইল রেজিস্ট্রি করা যাইবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *