M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫(পর্ব এক)

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫(পর্ব এক)

7 July, 2019

উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫
(১৯২৫ সনের ৩৯নং আইন)
[৩০ শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৫]
বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহতকরণকল্পে প্রণীত আইন।
যেহেতু বাংলাদেশে উইলবিহীন অবস্থা এবং উইল সংক্রান্ত উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন সংহত করা প্রযোজনীয় ও সমীচীন; সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল।
ভাগ – ১
প্রাথমিক
ধারা-১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম৷- এই আইন উত্তরাধিকার আইন, ১৯২৫ নামে অভিহিত হইবে।
ধারা-২৷ সংজ্ঞা৷ – বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে-
(ক) ”প্রশাসক” অর্থ নির্বাহক না থাকিলে মৃত ব্যক্তির ভূ-সম্পত্তি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত র্কতৃপক্ষের দ্বারা নিযোগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
(খ) ”কডিসিল” (Codicil) অর্থ উইল সংক্রান্ত কৃত কোন দলিল এবং উহার ব্যাখ্যা, পরিবর্তন, বা সংযোজন এবং উইলের অংশবিশেষ গঠন করে বলিয়া বিবেচিত হইবে;
(খখ) ”জেলা জজ” অর্থ মূল এক্তিয়ারসম্পন্ন প্রধান আদালতের বিচারক বুঝাইবে।
(গ) ”নির্বাহক” অর্থ উইলকারীর নিয়োগ দ্বারা মৃত ব্যক্তির সর্বশেষ উইলের কার্যকরণ করার জন্য বিশ্বাস বলে অর্পিত কোন ব্যক্তি;
(ঘ) ”বাংলাদেশ খৃস্টান” অর্থ বাংলাদেশের একজন নাগরিক যিনি অবিমিশ্র এশিয়াটিক বংশোদ্ভূত বলিয়া নিজেকে দাবী করেন এবং যিনি খৃস্ট ধর্মের কোন অংশে অনুগত;
(ঙ) ”নাবালক” অর্থ ১৮৭৫ সনের সাবালকত্ব আইন সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি, যিনি উক্ত আইনের অর্থানুসারে সাবালকত্ব অর্জন করেন নাই, এবং অন্য কোন ব্যক্তি, যাহার বয়স ১৮ বত্সর হয় নাই এবং ”নাবালকত্ব” অর্থ উক্ত কোন ব্যক্তির মর্যাদা;
(চ) ”প্রবেট” অর্থ উইলকারীর ভূ-সম্পত্তির পরিচালনা মঞ্জুর সম্পর্কিত উপযুক্ত এক্তিয়ারসম্পন্ন আদালতের সীল মোহরে সত্যায়িত উইলের অনুলিপি;
(ছ) ”উইল” অর্থ উইলকারীর সম্পত্তি বিষয়ে তাহার ইচ্ছার আইনগত ঘোষণা বুঝাইবে, যাহা তিনি তাহার মৃত্যুর পরে কার্যকর হইবে মর্মে ইচ্ছা পোষণ করেন।
ধারা-৩৷ এই আইনের প্রয়োগ হইতে কোন জাতি, গোষ্ঠী বা উপজাতিকে অব্যাহতি দানে সরকারের ক্ষমতা৷- (১) সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ১৮৬৫ সনের ১৬ই মার্চ হইতে ভূতাপেক্ষভাবে কিংবা ভবিষ্যত্ হইতে এই আইনের নিম্নলিখিত কোন বিধানাবলীর কার্যকরতা হইতে অর্থাত্ ৫ ধারা থেকে ৪৯ ধারা পর্যন্ত, ৫৮ ধারা থেকে ১৯১ ধারা পর্যন্ত, ২১২, ২১৩ ধারা এবং ২১৫ ধারা থেকে ৩৬৯ ধারা পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা উপজাতিকে কিংবা উহার কোন অংশকে, অব্যাহতি দিতে পারিবে যাহার ক্ষেত্রে সরকার উক্ত বিধানাবলী বা আদেশে উল্লেখিত কোন একটি প্রযোজ্য হওয়া অসম্ভব বা অসমীচীন বলিয়া বিবেচনা করে।
(২) একইরূপে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার উক্ত কোন আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে, কিন্তু এমনভাবে নয় যে যাহাতে উক্ত প্রত্যাহারের কোন ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা থাকে।
(৩) এই ধারায় উল্লিখিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে ”অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ” হিসাবে উল্লেখিত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *