চুক্তির সংজ্ঞা ও চুক্তির বৈশিষ্ট্য
চুক্তির সংজ্ঞা
বাংলাদেশে প্রযোজ্য ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের (২জ)ধারায় চুক্তি সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।সেখানে বলা হয়েছেযে,আইনে বলবতয্যে সম্মতি হচ্ছে চুক্তি।
চুক্তির বৈশিষ্ট্য
১। চুক্তি দুই বা ততোধিক ব্যাক্তির মধ্যে একটা আইনগত সম্পর্কের সৃষ্টি করে কাজেই দুয়ের কম অথাত একক ব্যক্তির মধ্যে চুক্তি হয় না।
২।এই সম্পর্কের ফলে উভই পক্ষের কিছু আইনগত অধিকার ও দায়-দায়িত্বের সৃষ্টি হয়।
৩। এ সকল অধিকার ও দায়-দায়িত্ব চুক্তিভুক্ত পক্ষগণ নিজেরাই নির্ধারণকরে থাকে।
৪।এ দায়িত্ব ভঙ্গ করলে দেওয়ানী অন্যায় সংঘটিতহয় চুক্তি ভঙ্গ দেওয়ানী প্রকৃতির অন্যায়, ফৌজদারি অপরাধ নয়
এর প্রতিকার শাস্তি নয়,আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা চুক্তি পালন।
৫।চুক্তি অঙ্গীকারের উপর ণির্ভরশীল ,কিন্ত সকল অঙ্গীকারই চুক্তির পর্যায়ে পড়েনা।যে সকল অঙ্গীকার আইনগত বাধ্যবাধকতার সৃষ্টি করে সেগুলো চুক্তি।
৬। চুক্তি ব্যক্তির উপর অধিকার সৃষ্টি করে, বস্তর উপর নয়।চুক্তিভুক্ত ব্যাক্তির আচরণকে নিয়ত্নিত করে চুক্তি আইন চুক্তিভুক্ত সম্পওির উপর কোন নিয়ত্নণ করেনা ।তাই বিক্রয় চক্তির পরওকোন পক্ষ সংশ্লিষ্ট পন্য বা সম্পওি অন্য ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ নিষেধাজ্ঞা জারী করে ।চুক্তিভুক্ত পক্ষকে বিক্রয় করা হতে বিরত রাখতে পারে কিন্ত সে সম্পওির উপর কোন অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।
৭।চুক্তি ভঙ্গের জন্য যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় তাহা সাধারণত পূবে নির্ধারিত হয়ে থাকে। অবশ্য ইহা প্রকৃত ক্ষতির সহিত সামঞ্জস্যপূণ্য কিনা তা দেখার এবং প্রয়োজনবোধে পরিবর্তন করার এখতিয়ার আদালতের আছে।
৮। অঙ্গীকার পালনই চুক্তি আইনের মূল উদ্দেশ্য । চুক্তিভঙ্গের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ, নিষেধজ্ঞা ওঅন্যাণ্য প্রতিকার আছে। প্রয়োজনবোধে সুনিদিষ্ট কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে অঙ্গীকার পালনে বাধ্য করা যায় চুক্তি আইনে।