M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

অগ্রক্রয় মামলায় আব্যশকীয় পক্ষ

অগ্রক্রয় মামলায় আব্যশকীয় পক্ষ

১। অগ্রক্রয়ের মামলাটি যদি একজন উত্তারাধীকার সূত্রের সহ-শরিক দায়ের করে তবে উত্তারাধিকার সূত্রের অন্যান্য সকল সহ-শরিক মামলায় পক্ষ হতে পারবেন ।

যদি অগ্রক্রয়ের মামলাটি খরিদ সূত্রের কোনো সহ-শরিক দায়ের করে থাকেন তবে জোতের সকল সহ-শরিকগণ মামলার পক্ষ হতে পারবেন ।

অগ্রক্রয়ের মামলাটি সংলগ্ন জোতের কোনো মালিক করে থাকলে ঐ জোতের সকল উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির সহ-শারিকগণসহ-শরিকগণ লগ্ন ভূমির মালিকগণ এবং হস্তান্তর গ্রহীতাগণ (ক্রেতা) মামলার পক্ষভুক্ত করতে হবে ।


রয়োজনীয় পক্ষকে মামলায় পক্ষভুক্ত করা বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয় পক্ষকে মামলায় পক্ষ করা না হলে মামলা পক্ষ ভাব দোষে দুষ্ট হবে এবং মামলাটি খারিজ হয়ে যাবে ।

প্রার্থী হওয়ার সময়সীমা

অগ্রক্রয় মামলায় ১৯৫০ সলের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট এর ৮৯ ধারা অনুযায়ী নোটিশ জারির তারিখ হতে ২ মাস সময়ের মধ্যে পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে ।

১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৯৬ ধারার ৪ উপধারা)

ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ

আদালতে আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর হলে আদালত প্রতিপক্ষকে আদালতে জমা অর্থ হতে নিম্নরূপ অর্থ পরিশোধের আদেশ দিতে পারেন
কবলার প্রকৃত বিক্রয় মূল্য

বিক্রয় মূল্যের ১০% টাকা ক্ষতিপূরণ

কবলার তারিখ হতে ক্রেতা কর্তৃক পরিশোধিত খাজনা

জমি কোথাও দায়বদ্ধ থেকে থাকলে তা মুক্তির জন্য ব্যয়িত অর্থ
জমির উন্নয়ন বা উত্কর্ষ সাধনের জন্য কোনো টাকা ব্যয় হয়ে থাকলে সে টাকা

আদেশের বিরুদ্ধে আপিল



অগ্রক্রয় মামলার রায়ে কোনো পক্ষ সংক্ষুদ্ধ হলে ১৯৫০ সলের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট এর ৯৬ (১২) ধারার বিধান অনুসারে জেলা জজের আদালতে আপিল করতে পারবেন। আপিলে প্রদত্ত আদেশই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে অর্থাত্‍ অগ্রক্রয় মামলায় দ্বিতীয় আপিল নেই ।

ক) অগ্রক্রয় মামলায় রায়ের পর সিদ্ধান্ত লাভকারী পক্ষের উপর সম্পত্তির সকল স্বত্ব স্বার্থ ও অধিকার বার্তাবে ।

খ) অগ্রক্রয়ের আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট জমিতে আদালতের মাধ্যমে দখল পাবার অধিকারী হবেন ।

যে সকল অবস্থায় অগ্রক্রয় অধিকার প্রয়োগ করা যায় না

১। অগ্রক্রয়ের অধিকার কোনো অখন্ডনীয় অধিকার নয়। কার্যক্রম রুজু অবস্থায় কেউ সহ-শরিকের মর্যাদা হারালে তাঁর আর এ অধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকে না ।

২। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দরখাস্ত দাখিল করতে ব্যর্থ হলে এ অধিকার থাকে না ।

৩। আপোষ ডিক্রীর মাধ্যমে কোনো সম্পত্তি হস্তান্তরে সম্মতি দান করলে সেক্ষেত্রে সম্মতি দানকারী ব্যক্তির আর অগ্রক্রয়ের অধিকার থাকে না ।

৪।  কোনো না-দাবীনামা হস্তান্তর দলিল হিসেবে গণ্য হয় না । তাই এরূপ না-দাবীনামা রেজিস্ট্রি করা হলেও এর ভিত্তিতে অগ্রক্রয় অধিকার চলবে না ।

৫। দান বা হেবা বিল-এওয়াজ এর ক্ষেত্রে এ অধিকার চলবে না ।

৬।  পৌর এলাকার অন্তর্গত এলাকায় ১৯৫০ সলের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্ট এর ৯৬ ধারার বিধান অনুসারে অগ্রক্রয় যোগ্য নয়

৭।  বিক্রেতার নিকট বিক্রিত ভূমি পুনহস্তান্তরের ক্ষেত্রে এ অধিকার চলবে না ।

৮। অগ্রক্রয়ের অধিকারী পক্ষগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অধিকার প্রয়োগে ব্যর্থ হলে তাদের অধিকার নষ্ট হয়ে যাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *