ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ পর্ব পাচ
আমরা সকলেই জানি ভবন নির্মাণের জন্য, ভবনের ডিজাইন এবং নকশা অনুমোদনের ক্ষেএে সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করতে হয় । যেটি ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ নামে পরিচিত । নিন্মে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা- ২০০৮ আইনটি ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে(পর্ব পাচ)
(৭০) “ভূমি-ব্যবহার ছাড়পএ” অর্থ ক্ষেএমত কতৃপক্ষ বা সরকার কতৃক Town Improvement Act-1953 ( Act No. XIII of 1953) এর অধীন প্রণীত ঢাকা মেট্রোপলিটন মাষ্টারপ্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫), মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ (২০০০ সনের ৩৬ নং আইন) এর আওতায় প্রদও আবেদনকারীর ভূমির ব্যবহার সম্পর্কিত ছাড়পএ
(৭১) “মহাপরিকল্পনা” (Master Plan) অর্থ Town Improvement Act-1953 ( Act No. XIII of 1953) এর অধীন প্রণীত যে কোন পরিকল্পনা, যাহা বর্তমানে Dhaka Metropolitan Development Plan (1995-2015), Structural Plan, Urban Area Plan, Detailed Area Plan হিসাবে অভিহিত, গৃহীত, অনুমোদিত ও কার্যকর
(৭২) “মেজানাইন তলা” অর্থ ভবনের যে কোন দুইটি মূল তলার মধ্যবর্তী একটি মাঝামাঝি আংশিক তলা
(৭৩) “মেঝে” অর্থ ভূমির সমান্তরাল ইমারতের তলা
(৭৪) “যান্ত্রিক বায়ু চলাচল ব্যবস্থা” অর্থ যান্ত্রিকভাবে কোন ভবনে বা তাহার অংশবিশেষে বাতাস আনয়ন অথবা প্রয়োজনে বাতাস বাহির করিয়া দেওয়ার ব্যবস্থা
(৭৫) “রাস্তা” অর্থ ভূমি-জরীপ ম্যাপ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ, মিউনিসিপ্যালিটি বা সমজাতীয় নাগরিক সুবিধা প্রদানকারী কোন সংস্থার ম্যাপ বা রেকর্ডভূক্ত চলাচলের পথ, সকল ধরনের সড়ক, মহাসড়ক, পথ, হাঁটা পথ বিদ্যমান অথবা নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান এবং রাস্তা সংলগ্ন সংরক্ষিত খালি জায়গা, ড্রেন ও ফুটপাথও ইহার অন্তর্ভূক্ত
(৭৬) “রাস্তার প্রস্থ” অর্থ রাস্তা, রাস্তা সংলগ্ন ড্রেন, ফুটপাথ্ ইত্যাদিসহ রাস্তার সর্বমোট বিস্তার
(৭৭) “সংযুক্তি” অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত সংযুক্ত
(৭৮) “সংযোজন” অর্থ ভবনের ঘন আয়তন অথবা মেঝের ক্ষেএফলের সহিত সংযোজন;
(৭৯) “সংরক্ষিত এলাকা” অর্থ ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান এর অধীনে প্রস্তুত ডিটেইলড্ এরিয়া প্ল্যান (DAP) এ নির্দেশিত সাংস্কৃতিক বা প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শনযুক্ত এলাকা
(৮০) “সারণী” অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত সারণী
(৮১) “স্বত্বাধীকারী” অর্থ জমির আইনানুগ মালিকানাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, ব্যক্তি-সমষ্টি, কোম্পানী, ট্রাস্ট, নিবন্ধিত সংঘ, সরকার বা তৎঅধীনস্থ কোন সংস্থা
(৮২) “সেটব্যাক” অর্থ প্রতিটি ইমারতের সন্মুখে, পার্শ্বে এবং পশ্চাতে নুন্যতম উন্মুক্ত স্থান
(৮৩) ““সেটব্যাক লাইন” অর্থ পট বা সাইট এর মাঝে পটের সীমানা রেখার সমান্তরাল রেখা
(৮৪) “সার্ভিস কর” অর্থ বসবাস ব্যতীত অন্যান্য কর এবং আবৃত স্থান, যেমন- পার্কিং এরিয়া, এয়ার কন্ডিশনার প্যান্ট, বিল্ডিং সার্ভিসের জন্য সংরক্ষিত স্থান, জেনারেটর এর জন্য নির্ধারিত স্থান, গৃহস্থালী কাজের জন্য স্টোর রুম, স্ট্রং রুম, সার্ভিস স্টেশন, অদাহ্য বস্তু রাখিবার করসমূহ, ইত্যাদি
(৮৫) “সার্ভিস রোড” অর্থ সার্ভিসের প্রয়োজনে পটের পশ্চাতে এবং পার্শ্বে সংরক্ষিত রাস্তা বা লেইন
(৮৬) “সাইট” অর্থ ইমারত বা ইমারতের অঙ্গন নির্মাণ, মাটি বা বালি ভরাট, খনন বা পাহাড় কর্তনের জন্য নির্দিষ্ট সীমারেখা বেষ্টিত স্থান
(৮৭) “সানশেড” অর্থ রোদ বৃষ্টি হইতে রক্ষার জন্য বহিঃদেওয়ালের উপর স্থাপিত ওভার হ্যাং
(৮৮) “সার্বজনীন গম্যতা” অর্থ সার্বজনীন ডিজাইন নীতিতে নকশাকৃত নির্মিত পরিবেশ
(৮৯) “সার্বজনীন ডিজাইন” অর্থ এমন একটি নকশানীতি কার্যক্রম যেখানে শারীরবৃওীয় অবস্থান সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি প্রয়োজনকে আলাদা না করিয়া সকল মানুষের সার্বজনীন প্রয়োজনকে পরিকল্পনায় রাখিয়া নীতি নির্ধারিত হয়
(৯০) “সুপারভাইজার” অর্থ কোন ইমারত নির্মাণ কাজ তও্বাবধানের জন্য বিধি ৪১ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ব্যক্তি যিনি স্বীকৃত কোন পলিটেকনিক বা কারিগরী ইনস্টিটিউট হইতে প্রকৌশল বা স্থাপত্য বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী এবং সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটের সদস্য;
(৯১) “স্থপতি” অর্থ যিনি স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (IAB) এর সদস্য এবং ৪১ অনুযায়ী তালিকাভুক্ত
(৯২) “হাউজিং বা এ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স” অর্থ একগুচ্ছ আবাস বা এ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাটের সমাবেশ যেখানে কতিপয় সাধারণ সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ব্যবহারের জন্য বিদ্যমান থাকে ।
চলবে————