সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন: ১ অভিভাবকত্ব কি ?
উত্তর : অভিভাবকত্ব হলো নিজের দেখাশোনা বা পরিচালনা করতে অক্ষম এমন কোন ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধানের ক্ষমতা বা অধিকার। সাধারণত শিশু, নির্বোধ ও মানসিক প্রতিবন্ধীর জন্য অভিভাবক প্রয়োজন।
প্রশ্ন. ২.মুসলিম আইন অনুযায়ী পিতার অবর্তমানে সন্তানের অভিভাবক কে?
উত্তর. মুসলিম আইন অনুযায়ী পিতার অবর্তমানে সন্তানের অভিভাবক কে হবেন তা নির্দিষ্ট করা হয় নি। তবে পিতার অবর্তমানে মাতা তাহার আইনসম্মত জিম্মাদার হবেন। কোন নাবালকের সম্পত্তি ও শরীর রক্ষায় অভিভাবকের প্রশ্ন উত্থাপিত হলে উপযুক্ত আদালত অভিভাবক নিয়োগ করবেন। এই অভিভাবক আদালত ও আইনানুযায়ী অভিভাবকত্ব পরিচালনা করবেন।
প্রশ্ন. ৩.পিতার মৃত্যু বা অবর্তমানে মা যদি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তাহলে তিনি কি শিশুর অধিকার হারাবেন?
উত্তর.না,শুধুমাত্র বিবাহের কারণে মাতা শিশুর অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। এক্ষেত্রে বিষয়টি আদালতে গেলে আদালত বিবেচনা করবেন যে, শিশুর কল্যাণ কোথায় হবে। যেখানে শিশুর হেফাজত ও কল্যাণ হবে আদালত সেই মতে আদেশ প্রদান করবেন।
প্রশ্ন. ৪.পারিবারিক আদালতে অভিভাবকত্ব বিষয়ে কোন ধর্মের মানুষ মামলা দায়ের করতে পারবেন?
উত্তর. ১৯৮৫ সালে গঠিত পারিবারিক আদালতে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান সহ সকল ধর্মের নাগরিকগণ সন্তানের অভিভাবকত্ব বিষয়ে মামলা করতে পারবেন।
প্রশ্ন. ৫. নাবালক সন্তানের সম্পত্তি কি বিক্রি করা যায়?
উত্তর. নাবালক সন্তানের সম্পত্তি আইনে উল্লেখিত কারণে বিক্রি করা যায় ।
যেমন:
১। উক্ত সন্তানের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য তার অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি অথবা বন্ধক দিতে পারেন।
২।।নাবালকের ভরণপোষণ, উইলের দাবী, ঋণ, ভূমিকর পরিশোধ ইত্যাদির জন্য একজন আইনগত অভিভাবক নিচের এক বা একাধিক কারণে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন।
১। ক্রেতা দ্বিগুন দাম দিতে প্রস্তুত
২। স্থাবর সম্পত্তিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,
৩। সম্পত্তিটি রক্ষণাবেক্ষণে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে।
যদি আদালত কর্তৃক অভিভাবক নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোন সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।
তথ্যসূত্র
পারিবারিক আইনে বাংলাদেশের নারী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, প্রথম প্রকাশ: জুন-১৯৯৭।