M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

জমির ওয়ারিশনামা

একজন ব্যক্তি মারা যাবার আগে তিনি তার সম্পত্তি কাউকে দান না করে গেলে যেভাবে মৃত্যুর পরে সকলের মাঝে বন্টন করা হয় তাই ওয়ারিশনামা। সুন্নী উত্তরাধিকার আইনে যেসব উত্তরাধিকারীদের মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে অধিকার দেওয়া আছেঃ স্বামী,পিতা,আপন বোন,স্ত্রী,মাতা,বৈমাত্রেয়,বোন,দাদা,দাদী বা,নানী,বৈপিত্রেয় ভাই,কন্যা,পুত্রের কন্যা,বৈপিত্রেয় বোন।
১। স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীর অধিকারঃ মুসলিম আইন এবং কোরআনের বিধান মোতাবেক সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে স্বামীকে দুটি অবস্থায় বিশ্লেষণ করা যায়; যথা –
ক) মৃত ব্যক্তির সন্তান সন্ততি বা পুত্রের সন্তান সন্ততি বা তার নিম্নে কেউ না থাকলে ১/২ অংশ পাবে।
(খ) আবার মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান- সন্ততি কেউ থাকলে সেক্ষেত্রে ১/৪ অংশ পাবে।

২। স্বামীর সম্পত্তিতে বিধবা স্ত্রীর অধিকার : মৃত ব্যক্তির স্ত্রী একজন থাকুক আর একাধিক থাকুক তাদের সম্পত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুটি অবস্থা উল্লেখ করা যায়; যথা-
(ক) মৃত ব্যক্তির সন্তান সন্ততি বা তার নীচে কেউ না থাকলে স্ত্রী ১/৪ অংশ পাবে।
(খ) অপরদিকে মৃত ব্যক্তির সন্তান সন্ততি বর্তমান থাকলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী ১/৮ অংশ পাবে। আর যদি মৃত ব্যক্তির একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকে, তবে সব বিধবা স্ত্রীরাই উপরোক্ত ১/৪ বা ১/৮ অংশ হতে যেরকমই হয়, সমান হারে তাদের অংশ ভাগ করে পাবে। স্বামী পীড়িত অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিলে উক্ত তালাকী স্ত্রীর ইদ্দত কাল এর মধ্যে স্বামী মারা গেলে তালাকী স্ত্রী স্বামীর ওয়ারিশ হবে। কিন্তু স্বামী একইভাবে স্ত্রীর উত্তরাধিকারী হতে পারবেনা।

৩। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতার অধিকার : মুসলিম আইন এবং কোরআনের বিধান অনুযায়ী পিতা কোরানিক অংশীদার। পিতার এই অংশ তিনটি অবস্থায় দেখানো হলো।
(ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র কিংবা তার চেয়ে নীচে কেউ থাকলে পিতা মাত্র ১/৬ অংশ পাবে।
(খ) পুত্র না থাকলে কন্যা বা তার নীচে কেউ থাকলে পিতা ১/৬ অংশ এবং এবং অবশিষ্টভোগী হিসেবে সম্পত্তি পাবে।
(গ) পুত্র কন্যা বা পুত্রের পুত্র বা তার নীচে কেউই না থাকলে পিতা অবশিষ্টাংশভোগী হবে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি পাবে। অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে পিতা: মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান এমনি নিম্নগামী অধঃস্তন বংশধর বিদ্যমান না থাকলে পিতা অবশিষ্টাংশভোগী বা শেষভোগী হিসেবে সম্পত্তি প্রাপ্য হয়। অনুরূপভাবে মৃত ব্যক্তির অংশীদার শ্রেণীভুক্ত অন্য কোন ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকলে, উক্ত অংশীদার শ্রেণীভুক্ত ওয়ারিশদের অংশ মিটিয়ে দেবার পরই পিতা অবশিষ্টাংশভোগী বা শেষভোগী হিসেবে সম্পত্তি প্রাপ্ত হবেন।

৪। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে প্রকৃত পিতামহ বা দাদার অধিকার : মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান অথবা পুত্রের সন্তান (যতই নিম্নগামী হোক না কেন) থাকলে এবং পিতা অথবা নিকটতম পিতার পিতা না থাকলে সত্যিকার পিতামহ ১/৬ অংশ পায়। এবং এরা কেউ না থাকলে সত্যিকার পিতামহ অবশিষ্টভোগী অংশ গ্রহণ করবে। অর্থাত্ পিতা যে অবস্থায় যা পায় পিতামহ সে অবস্থায় তাই পাবে, কিন্তু পিতা জীবিত থাকলে পিতামহ কিছুই পাবে না।
১ পিতার অবর্তমানে পিতার উল্লেখিত তিনটি অবস্থা পিতামহের উপর বর্তাবে । কিন্তু ৪টি মাত্র স্থানে পিতা ও পিতামহের কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়; যথা-
(ক) পিতার মাতা পিতার সাথে থাকলে সম্পত্তি পায়না কিন্তু পিতামহের সাথে পেয়ে থাকে ।
খ) স্বামী বা স্ত্রীর সাথে পিতা ও মাতা থাকলে স্বামী বা স্ত্রীকে দিয়ে যা অবশিষ্ট থাকে মাতা তার ১/৬ অংশ পায় কিন্তু এক্ষেত্রে পিতার স্থলে পিতামহ থাকলে মাতা সমস্ত সম্পত্তির ১/৩ অংশ পায়।
(গ) সহোদর ও বৈমাত্রেয় ভাই বোনগণ পিতার সাথে বঞ্চিত হবে, কিন্তু কোন কোন ইমামের মতে তারা পিতামহের সাথে বঞ্চিত হবে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর মতে তারা পিতামহের সাথেও বঞ্চিত হবে। আমরা উত্তরাধিকার বন্টনের ক্ষেত্রে উক্ত ইমাম সাহেবের মত অনুসরণ করে থাকি।

৫।মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার প্রকৃত মাতামহী/পিতামহী (নানী/দাদী) এর অধিকার : উত্তরাধিকার লাভের ক্ষেত্রে নানী/দাদীর তিনটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়:
(ক)মৃত ব্যক্তির মাতা, নিকটতম প্রকৃত মাতামহী কিংবা নিকটতম প্রকৃত পিতামহী না থাকলে নানী ১/৬ অংশ সম্পত্তি লাভ করেন।
(খ) মৃত ব্যক্তির মাতা, পিতা, নিকটতম প্রকৃত মাতামহী কিংবা নিকটতম প্রকৃত পিতামহী না থাকলে দাদী ১/৬ অংশ সম্পত্তি লাভ করেন।
(গ) দাদী ও নানী উভয়েই থাকরে তারা একত্রে ১/৬ অংশ সমান পাবেন। প্রকৃত পিতামহী হলেন এমন একজন পূর্বনারী যার এবং মৃত ব্যক্তির মধ্যে মাতৃ সম্পর্কীয় কোন পিতামহ মধ্যবর্তী হননা। যেমন: পিতার মাতা, পিতার মাতার মাতা, পিতার পিতার মাতা, মাতার মাতা মাতার মাতার মাতা।

 

আপনিকি ঢাকায় প্লট/ফ্ল্যাট/জমি ক্রয়ের কথা ভাবছেন? আপনার পছন্দের প্লট/ফ্ল্যাট/জমিটি আমাদের কাছেই আছে।

৬। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার মাতার অধিকার: উত্তরাধিকার লাভের ক্ষেত্রে মাতার তিন অবস্থা হতে পারে:
ক) যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি, যত নিম্নেরই হউক, অথবা যদি পূর্ণ বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় দুই বা ততোধিক ভাই কিংবা বোন, এমনকি একজন ভাই এবং একজন বোন থাকে, তাহলে ও ১/৬ অংশ পাবেন।
খ) কিন্তু যেসকল ক্ষেত্রে মাতা ১/৩ অংশ পায় সেক্ষেত্র গুলো নীচে দেওয়া হলো: যখন মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান অথবা পুত্রের সন্তান (যতই নিম্নগামী হোক না কেন) না থাকে, অথবা, যখন মৃত ব্যক্তির এক ভাই অথবা এক বোন এর বেশী না থাকে। কিন্তু বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, যদি মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর অথবা স্বামীর সাথে মাতা এবং পিতা থাকে, তবে সেক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অংশ বাদ দেবার পর যে অংশ বাকি থাকে, মাতা তার ১/৩ অংশ পাবে। প্রকৃত পিতামহী হলেন এমন একজন পূর্বনারী যার এবং মৃত ব্যক্তির মধ্যে মাতৃ সম্পর্কীয় কোন পিতামহ মধ্যবর্তী হন না।

৭।কন্যার অধিকার: মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে মৃত ব্যক্তির ঔরশজাত কন্যার অংশ বন্টনের ক্ষেত্রে তিন অবস্থায় অংশ বন্টন করা হয়। যেমন-
(ক) মৃত ব্যক্তির কন্যা একজন থাকলে এবং পুত্র না থাকলে সে ১/২ (অর্ধেক) ভাগ সম্পত্তি পাবে ।
(খ) দুই বা ততোধিক কন্যা থাকলে এবং কোন পুত্র না থাকলে তারা ২/৩ (তিন ভাগের দুই) ভাগ সমানভাগ পাবে।
(গ) মৃত ব্যক্তির পুত্র থাকলে কন্যা/কন্যারা অংশীদার হিসেবে সম্পত্তি না পেয়ে পুত্রের সাথে ২:১ অনুপাতে অর্থাত্ অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে পুত্র যা পাবে কন্যা তার অর্ধেক পাবে। কন্যা কখনো পিতা/মাতার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হয়না ।
৮। পুত্রের কন্যারঅথবা পুত্রের পুত্রের কন্যা অর্থাত্ পোত্রীর অধিকার: পুত্রের কন্যা বা পুত্রের পুত্রের কন্যা যত নিম্নের হোক এর উত্তরাধিকার আইন, ১৯৬১ সনের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ এর ৪ ধারার প্রভাবে পরিবর্তন হয়েছে বিধায় তা মূল মুসলিম হানাফী আইন এবং পরিবর্তিত আইন এই দুই উপ-শিরোনামে আলোচনা করা যায়। মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ এর ৪ ধারার প্রভাবে এই বঞ্চিত হওয়ার বিধান বাতিল হয়েছে। উক্ত ধারার মূল মুসলিম হানাফী আইন: মুল মুসলিম হানাফী আইন অনুসারে পুত্রের কন্যার সম্পত্তি লাভের ক্ষেত্রে চারটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়:
(ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র বা একাধিক কন্যা থাকলে পুত্রের কন্যা সম্পূর্ণরূপে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
(খ) মৃত ব্যক্তির পুত্র-কন্যা না থাকলে পুত্রের কন্যা একা হলে ১/২ অংশ এবং একাধিক হলে ২/৩ অংশ সম্পত্তি পায়।
(গ) মৃত ব্যক্তির যদি একমাত্র কন্যা তাকে, তবে পুত্রের কন্যা একা বা একাধিক যাই থাকুক একা বা সবাই শুধুমাত্র ১/৬ অংশ পাবে। একাধিক হলে এই ১/৬ অংশ সবাই সমানভাবে পাবে।
(ঘ) মৃত ব্যক্তির পুত্রের পুত্র থাকলে, পুত্রের কন্যা অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে তার বা তার সাথে ২:১ সম্পত্তি লাভ করবে। পুত্রের পুত্রের কন্যা যত নিম্নের হোক পুত্রের কন্যার মত পুত্রের পুত্রের কন্যার সম্পত্তি লাভের ক্ষেত্রে ও চারটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।

(ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র বা একাধিক কন্যা বা নিকটতম পুত্রের পুত্র বা নিকটতম পুত্রের পুত্র বা নিকটতম পুত্রের একাধিক কন্যা থাকলে দুরবর্তী পুত্রের কন্যা উত্তরাধিকার হতে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হয়।
(খ) মৃত ব্যক্তির পুত্র কন্যা বা নিকটতম পুত্রের পুত্র বা নিকটতম পুত্রের কন্যা না থাকলে দূরবর্তী কন্যা একা হলে ১/২ অংশ এবং একত্রে হলে সবাই ২/৩ অংশ পাবে।
(গ) মৃত ব্যক্তির যদি একমাত্র কন্যা বা নিকটতম পুত্রের একমাত্র কন্যা থাকে, তবে দূরবর্তী পুত্রের কন্যা এক বা একাধিক যাই থাকুক, একা বা সবাই একত্রে শুধুমাত্র ১/৬ অংশ পাবে।
(ঘ) পুত্রের পুত্রের কন্যার সাথে সমান স্তরে পুত্রের পুত্র থাকলে পুত্রের পুত্রের কন্যা অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে তার বা তাদের সাথে ২:১ হারে সম্পত্তি লাভ করবে। একই সাথে পুত্রের পুত্র/পুত্রের কন্যা এবং পুত্রের পুত্রের পুত্র/পুত্রের পুত্রের কন্যা অবস্থান করে তখন প্রথম ব্যক্তি শেষোক্ত ব্যাক্তির তুলনায় মৃত ব্যক্তির নিকটতম পুত্রের পুত্র/পুত্রের কন্যা হিসেবে গন্য করা হয়। একই সাথে যখন পুত্রের পুত্রের পুত্র ও পুত্রের পুত্রের কন্যা অবস্থান করে তখন তাদেরকে সমান স্তরের পুত্রের পুত্রের পুত্র এবং পুত্রের পুত্রের কন্যা হিসেবে উল্লেখ করা যায় ।

পরিবর্তিত আইন: (৯) মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার আপন বোন : মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে মৃত ব্যক্তির পুর্ণ বোন বা সহোদর বোন থাকলে তারা পাঁচটি অবস্থায় অংশ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। যেমন –
(ক)মৃত ব্যক্তির যদি একজন আপন বোন থাকে তাহলে সে ঐ ব্যক্তির সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে ।
(খ) যদি দুইবা ততোধিক সহোদর বোন থাকে তাহলে তারা ঐ সম্পত্তির ২/৩ অংশ পাবে ।
(গ) আপন ভাইয়ের উপস্থিতিতে আপন বোন অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে ২:১ হারে সম্পত্তি পেতে পারে।
(ঘ) আপন বোন মৃত ব্যক্তির সন্তান, পুত্রের সন্তান যত নীচের হোক, বা পুত্রের উপস্থিতিতে ও সে অংশীদার হতে বাদ পড়ে অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে সম্পত্তি পেতে পারে । কিন্তু ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবরিক আইনের বিধান মোতাবেক আপন বোন কোন অংশ পাবেনা। পুত্রের কন্যাই সব অংশ পাবে ।
(ঙ) মৃত ব্যক্তির পিতা বা দাদা বর্তমান থাকলে সহোদর বোন বঞ্চিত হবে ।

(১০) মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে তার বৈমাত্রেয় বোনের (যেখানে পিতা একজন কিন্তু মাতা দুইজন তাদের সন্তানগনের) অধিকার : মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে মৃত ব্যক্তির বৈমাত্রেয় বোন থাকলে তার অংশ ছয়টি অবস্থায় বন্টন করা হয়ে থাকে। যেমন –
(ক) মৃত ব্যক্তির বৈমাত্রেয় বোন একজন থাকলে সে ১/২ অংশ প্রাপ্ত এবং একাধিক বৈমাত্রেয় বোন একত্রে ২/৩ অংশ সমানভাগে পায়।
(খ) মৃত ব্যক্তির বৈমাত্রেয় ভাই বর্তমান থাকলে সেক্ষেত্রে বৈমাত্রেয় বোন তার সাথে অবশিষ্টাংশভোগী বা আসাবা হবে এবং ভাই যত পাবে বোন তার অর্ধেক অংশ পাবে ২:১ হারে সম্পত্তি পায়।
(গ) মৃত ব্যক্তির একজন মাত্র আপন বোন থাকলে বৈমাত্রেয় বোন একজন হোক আর একাধিক হোক সবাই একত্রে ১/৬ অংশ পাবে।
(ঘ) কিন্তু আপন বোন একাধিক থাকলে বৈমাত্রেয় বোন বঞ্চিত হবে। যেমন: মৃত ব্যক্তি বৈমাত্রেয় বোন আপন বোন চাচা ০ ২/৩ ১/৩
(ঙ) মৃত ব্যক্তির পুত্র, পুত্রের সন্তান যত নীচের হোক, পিতা অথবা পিতার পিতা অর্থাত্ দাদা, একাধিক আপন ভাই এর উপস্থিতিতে বৈমাত্রেয় বোন উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
(চ) মৃত ব্যক্তির কন্যা বা পুত্রের কন্যা বর্তমান থাকলে তার সাথে অবশিষ্টাংশভোগী হবে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি পাবে।

১১। বৈপিত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় বোনের অধিকার: (যেখানে পিতা দুইজন কিন্তু মাতা একজন তাদের সন্তানগণ) বৈপিত্রেয় ভাই/বোন এর উত্তরাধিকারলাভে দুটি অবস্থা লক্ষ্য করা যায়।
(ক) মৃত ব্যক্তির পুত্র, কন্যা, পুত্রের পুত্র বা পুত্রের কন্যা ইত্যাদি কেউই বর্তমান না থাকলে ও একজন বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন থাকলে ও সে ১/৬ অংশ এবং একাধিক বৈপিত্রেয় ভাই/বোন একত্রে ১/৩ অংশ সমানভাবে পাবে। বৈপিত্রেয় ভাই- বোনেরা সমান অংশ পায়। এক্ষেত্রে ভাই- বোনের অংশের অনুপাত ২:১ না হয়ে ১:১ হবে ।
(খ) মৃত ব্যক্তির পুত্র, কন্যা, পৌত্র (পুত্রের পুত্র), পৌত্রী (পুত্রের কন্যা), পিতা বা পিতার পিতা ইত্যাদি কেউ জীবিত থাকলে বৈপিত্রেয় ভাই/ বোন উত্তরাধিকার হতে বাদ পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *