ফরায়েজ আইন:
ইসলামী শাস্ত্র বা ইসলাম ধমের রিতি অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি, উত্তরাধীকারীদের মাঝে নির্ধারিত অংশ অনুযায়ী ভাগ দেওয়াকে ফরায়েজ বলা হয়। প্রায় ১৪০০ বছর ধরে ফরায়েজ অনুসারে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তির বন্টন করা হয়ে আসছে। প্রধানত তিন ধরনের উত্তরাধিকরাগণ মৃত মুসলিম ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পত্তি প্রাপ্ত হন- (১) অংশীদার, (২) অবশিষ্ট ভোগী, (৩) দুরআত্মীয় ।
অংশীদার:
অংশীদার হচ্ছে তারা যাদের অংশ কুরআন, হাদীস ও ইজমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এই অংশীদারের মোট সংখ্যা ১২ জন। এর মধ্যে ৮ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুশ। এরা হচ্ছেন- (১) পিতা, (২) মাতা (৩) সত্যিকার পিতামহ (দাদা), (৪) সত্যিকার মাতামহ (দাদি), (5) স্বামী, (6) স্ত্রী, (৭) সহোদর বোন, (৮) পুত্রের কন্যা, (৯) কন্যা, (১০) বৈপিত্রিয় ভাই, (১১) বৈপিত্রিয় বোন, (১২) বৈমাত্রিয় বোন, এদের 6 রকম অংশ নির্দিষ্ট করে দওয়া আছে, যেমন: 1/2, 1/4, 1/8, 2/3, 1/3, 1/6,
অবশিষ্ট ভোগী:
এরা নির্দিষ্ট কোন অংশ পায় না। অংশিদারদের অংশ দেওয়ার পর অবসিষ্ট সম্পত্তি তাদের মধ্যে বন্টিত হয় । এদের অংশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়ে খাকে, যেমন- পুত্র ও কন্যা, পুত্রের সন্তানগণ, চাচা, চাচাতো ভাই, ইত্যাদি। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে পিতা, পিতামোহ, সহোদর বোন, কন্যা, পুত্রের কন্যা, বৈমাত্রিয় বোন, অবশিষ্ট ভেগীর মধ্যে পরে। যেমন: মৃত ব্যাক্তির পিতা, ভাইবোন রেখে মারা গেলেন। তার কোন পুত্র, কন্যা, স্ত্রী নাই। এক্ষেত্রে পিতার কুরানিক অংশ ছাড়া্ও অবশিষ্ট সমস্ত সম্পত্তির মালিক পিতা হবেন।
দুরআত্মীয়:
উপরের অংশীদার ও অবশিষ্টভোগী না থাকলে মৃতের সম্পত্তি তার রক্তের দুরাত্মীয়দের মধ্যে বন্টন হবে। আবার কোন দুরাত্মীয় না থাকলে কিংবা মৃত ব্যাক্তি তার জীবদ্দশায় তার সম্পত্তির ভিন্ন কোন র্ববস্থা না করে গেলে মৃতের সমস্ত সম্পত্তির মালিক সরকার হবেন।
বি: দ্র: ফরায়েজ আইন ও উত্তরাধিকারদের সম্পত্তি বন্টন সম্পর্কে আমাদের ওয়েব সাইটো আরো একাধিক আর্টিকেল রয়েছে আপনারা সেগুলো দেখতে পারেন নিচে সেইগুলোর লিংক দেয়া হয়েছে।
# মুসলিম ফরায়েজের বা উত্তরাধিকার আইনের টুকিটাকি
# মুসলিম আইনে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার/উত্তরাধিকার আইন : নারী অধিকার
# বাবা কি সম্পত্তির ভাগ পান/মুসলিম উত্তরাধিকার আইন
# আপোষ বন্টন নামা দলিল এর নমুনা
# ত্যাজ্যপুত্রের সম্পওির অধিকার
….by-Faysal