M/s. বালুরপাড় হোল্ডিংস (ব্লগ)

জমি সংক্রান্ত আইন ও সমস্যর সমাধান এখানেই

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২(সনের ৩ নং আইন পর্ব চার)

চতুর্থ অধ্যায়
মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং অপরাধের বিচার
মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন

ট্রাইব্যুনালের অধিকতর তদন্ত সংক্রান্ত ক্ষমতা
২৩। ট্রাইব্যুনাল কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে অথবা স্বীয় ক্ষমতায় কোন মামলার অধিকতর তদন্তের এবং তদকতৃর্ক নির্দিষ্টকৃত সময়ের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করিতে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

বিচারকার্য সম্পন্নের সময়সীমা
২৪। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের অভিযোগ গঠনের ১৮০ (একশত আশি) কার্যদিবসের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও, উক্ত সময়সীমার মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থতা বিচারকার্যকে বাতিল করিবে না, কিন্তু, ট্রাইব্যুনাল উক্ত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিতে সমর্থ না হইবার কারণ ব্যাখ্যা করিয়া ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিবেদন প্রেরণ করিবে।

রুদ্ধ কক্ষ বিচার
২৫। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং নারী কিংবা শিশু ভিকটিমের সুরক্ষার প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল কারণ উল্লেখ করিয়া এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচারকার্য কেবল মামলার পক্ষগণ এবং তাহাদের নিযুক্ত আইনজীবীগণ বা ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে অন্যান্য প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে রুদ্ধ-কক্ষে অনুষ্ঠানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

দোভাষী

২৬। এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচারের যেকোন পর্যায়ে পাচারের শিকার ব্যক্তি বা অন্য কোন সাক্ষী অনুবাদক বা দোভাষী বা প্রয়োজনে ইশারা ভাষার দোভাষী নিয়োগের অনুরোধ করিতে পারিবে এবং ট্রাইব্যুনাল সেইমর্মে উপযুক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

সম্পত্তি আটক অবরুদ্ধকরণ বাজেয়াপ্তকরণ অতিরাষ্ট্রিক নিষেধাজ্ঞা
২৭। (১) বিচারকার্যের যে কোন পর্যায়ে, স্বীয় উদ্যোগে বা কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অর্জিত অস্থাবর বা স্থাবর সম্পত্তি আটক, অবরুদ্ধ বা বাজেয়াপ্ত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) কোন বাড়ি, জমি বা যানবাহন এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে বা সংঘটনের প্রচেষ্টায় ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইতেছে বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকিলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত বাড়ি, জমি বা যানবাহন আটক রাখিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৩) এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত দোষী ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত অপরাধ সংঘটনের ফলে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে বাজেয়াপ্তকৃত সম্পত্তি মানব পাচার প্রতিরোধ তহবিলে জমা হইবে।

(৪) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল বিদেশে অবস্থিত অপরাধলব্ধ অর্জিত সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তির অর্জিত অন্য কোন সম্পত্তি অবরুদ্ধ (freeze) এবং ক্রোক (attach) করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ লংঘিত হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে এবং অন্যূন ২০(বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

(৫) এই ধারার অধীন অবরুদ্ধ বা ক্রোকযোগ্য সম্পত্তি নির্দিষ্টকরণে সরকার এবং বিদেশস্থ সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস ট্রাইব্যুনালকে যথাযথ সহযোগিতা করিবে এবং উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আদেশ জারি হইলে সরকার যেদেশে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অবস্থিত সেই দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে ট্রাইব্যুনালের উক্ত আদেশের ব্যাপারে অবগত করিবে।

ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ
২৮। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের জন্য কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইলে ট্রাইব্যুনাল তদকর্তৃক আদেশকৃত অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিকে যৌক্তিক পরিমাণে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য তাহাকে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং এই ধরনের উক্তরূপ ক্ষতিপূরণ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সরাসরি অথবা প্রয়োজনে, the Public Demands Recovery Act, 1913 (Bengal Act No. III of 1913) এর বিধানানুযায়ী আদায়যোগ্য হইবে।

(২) ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষতিপূরণের আদেশ না দিয়া কেবল অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়া থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল উক্ত আদেশকৃত অর্থদণ্ডের অর্থ বা উহার কোন অংশ পাচারের শিকার ব্যক্তি বা ভিকটিমকে প্রদানের আদেশদান করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আদেশকৃত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণে ট্রাইব্যুনাল স্বীয় বিবেচনা প্রয়োগ করিবে এবং ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদানের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার ব্যয়, অত্যাবশ্যক যাতায়াত এবং সাময়িক আবাসনের ব্যয়, হারানো আয়, যাতনা, প্রকৃত বা আবেগজনিত ক্ষতি এবং দুর্ভোগের তীব্রতা বিবেচনা করিবে।

 

বিদেশী দলিল লিখিত তথ্যপ্রমাণাদি বা উপাদানের গ্রহণযোগ্যতা
২৯। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন বিদেশী লিখিত দলিল, আদালতের আদেশ বা রায়, তদন্ত প্রতিবেদন বা সরকারি ঘোষণা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা যথাযথভাবে সরবরাহকৃত এবং স্বাক্ষরিত ও প্রমাণীকৃত হইলে উহা সাক্ষ্য হিসাবে ট্রাইব্যুনালে গ্রহণযোগ্য হইবে, যদি তাহা বাংলাদেশে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস অথবা দূতাবাস না থাকিলে, দূতাবাসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক সত্যায়িত হইয়া থাকে।

(২) এই আইনের অধীন বিচার কার্যক্রমে সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসাবে গৃহীত হইতে হইলে কোন বাংলাদেশী কর্তৃক বিদেশে প্রস্তুতকৃত আমমোক্তারনামাসহ (power of attorney) যে কোন দলিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক এতদ্‌সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি অনুসারে সত্যায়িত এবং প্রমাণীকৃত হইতে হইবে।

(৩) কোন দলিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা বাংলাদেশ দূতাবাস কতৃর্ক সত্যায়িত বা প্রমাণীকৃত হইলে সেই দলিলের বিষয়বস্ত্তর (content)সত্যাসত্যের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা উক্ত দূতাবাস দায়ী হইবেনা।

হণযোগ্যতা
৩০। অডিও ভিস্যুয়াল যন্ত্র বা কোন ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে ধারণকৃত সাক্ষ্য প্রমাণ ট্রাইব্যুনালের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য (admissible) হইবে।<

৩১। ট্রাইব্যুনালের কোন আদেশ, রায় বা দণ্ডের বিরুদ্ধে রায় প্রদান অথবা আদেশ বা দণ্ড ঘোষণার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাইবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *